যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
এর আগে কয়লা পাচার মামলায় মেনকার বিরুদ্ধে কোনও ‘কড়া পদক্ষেপ’ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্যালিকার অভিযোগ, সেই নির্দেশ মানা হয়নি। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর ব্যাংকক যাত্রায় বাধা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। কলকাতা বিমানবন্দরের একটি ঘরে টানা দু’ঘণ্টা তাঁকে আটকে রাখে অভিবাসন দপ্তর। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানোর পর জানানো হয়, একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে ইডি। তাই তিনি বিমানে উঠতে পারবেন না। শহরও ছাড়তে পারবেন না। এমন কার্যকলাপ আদালত অবমাননার শামিল বলে অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেনকা। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে ইডির কাছে হলফনামা আকারে জবাব তলব করেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। অভিবাসন দপ্তরের বক্তব্যও জানতে চাওয়া হয়। এদিন সেই সংক্রান্ত হলফনামা জমা দিয়ে ইডির তরফে আইনজীবী এস ভি রাজু বলেন, ‘মেনকা গম্ভীরকে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে রাখা ঠিক হয়নি। তবে এটা ইচ্ছাকৃত নয়। ঘটনাটিকে হয়রানি হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। আদালত অবমাননা বলা যায় না।’
ইডির দাবি, এই ঘটনা কাকতালীয়ভাবেই ঘটেছে। অভিবাসন দপ্তরের তরফে কোনও উচ্চপদমর্যাদার আধিকারিক সেসময় হাজির ছিলেন না। লুকআউট নোটিসের জেরেই মেনকাদেবীকে আটক রাখা হয়েছিল। অভিষেকের শ্যালিকার আইনজীবী পাল্টা জানান, এভাবে ‘আটক’ রাখাও এক ধরনের কড়া পদক্ষেপ। মেনকা তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত। কড়া পদক্ষেপ নয়, এই নির্দেশের অর্থ ‘আটক’ করেও রাখা যাবে না। ইডির তরফে অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘গত ২৫ মার্চ মেনকার বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি হয়েছিল। তার জেরে প্রথামাফিক তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। একে হয়রানি হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে আদালত অবমাননার প্রশ্ন নেই।’ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।