যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
কী উঠে এসেছে সমীক্ষায়? জানা গিয়েছে, ৭৪ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ সপ্তাহে চার থেকে পাঁচবার রান্নাঘরে যান রান্না করতে। তবে তাঁদের রান্নার করার প্রবণতা বেড়েছে মূলত করোনাকালে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর কর্মসংস্কৃতিই যে এর অন্যতম কারণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ৬৬ শতাংশ স্বামী স্বীকার করেছেন, তাঁরা করোনা বা তার পরবর্তী সময়ে প্রথমবার হেঁশেল ঠেলতে গিয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে কতজন স্বেচ্ছায় সেই কাজে গিয়েছেন, আর কতজনই বা ঠেলায় পড়ে, তা স্পষ্ট করেনি সমীক্ষা। কারণ যাই-ই হোক না কেন, ৯৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, সবাই মিলে রান্নায় হাত লাগালে পরিবারের বন্ধন জোরালো হয়।
সমীক্ষা আরও বলছে, করোনার পর থেকেই যেহেতু মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন, তাই রান্নার উপকরণের বিষয়েও তাঁরা অনেক বেশি সজাগ। স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ দিয়ে খাবার তৈরির পক্ষে অন্তত ৯৭ শতাংশ মানুষ। এমনকী, তাঁরা খাবারের বৈচিত্রও বাড়িয়েছেন অনেকটাই। ৯৫ শতাংশ পরিবারেই থোড় বড়ি খাড়া থেকে সরে এসে এখন খাবারের থালায় উঁকি দিচ্ছে নিত্যনতুন পদ। তাতে বৈচিত্র আনতে ব্যবহার বেড়েছে মশলারও। অর্থাৎ মশলার অদলবদল ঘটিয়ে স্বাদে বাহার আনার প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই, বলছে সমীক্ষা। তবে মশলা নিয়েও খুঁতখুঁতে অনেকেই। ৬৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন, মশলার প্যাকেট খোলার কয়েকদিনের মধ্যে তার গন্ধ ফিকে হয়ে আসে। আর গন্ধই যদি না থাকল, তাহলে রান্নাটাই মাটি, মানেন সবাই। তাই তাঁরা চেষ্টা করেন প্যাকেটের মুখ যতটা সম্ভব বন্ধ করে রাখতে। কিন্তু সেই কাজ যথেষ্ট ঝক্কির। ৯৮ শতাংশ মানুষ বলছেন, মশলার প্যাকেটে যদি ‘জিপ’ বা চেন টানার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে সোনায় সোহাগা। ইমামি অ্যাগ্রোটেক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট (মার্কেটিং) দেবাশিস ভট্টাচার্যের কথায়, আমরা মন্ত্র মশলার যে ‘জিপ প্যাক’ এনেছি, তা হেঁশেলের যে একটি বড় সমস্যার সমাধান করবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।