সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এদিকে, অনুপ মাঝির বাড়ি থেকে একটি তালিকা উদ্ধার করেছেন অফিসাররা। কাকে কত মাসোহারা দিতে হতো, তার উল্লেখ আছে সেখানে। সূত্রের খবর নেতা, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পদস্থ কর্তা, পুলিস মিলিয়ে ৩০ জনের বেশি নাম আছে ওই তালিকায়। ওই ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করছে সিবিআই। তাঁরা কত আয়কর দিতেন, তার তথ্যও আয়কর দপ্তরের কাছে চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। দেখা হচ্ছে সম্পত্তির হিসেব।
কয়লা কাণ্ডের তদন্তে নেমে অফিসাররা বুঝতে পারছেন, দুর্নীতির শিকড় বহুদূর ছড়িয়ে। কেন্দ্র-রাজ্য, দু’দিকের অফিসারদের ‘ম্যানেজ’ করে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছেন লালা। তার প্রমাণ মিলেছে ইসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার অমিত ধরের বাড়ি থেকে নগদ ৬ লাখ টাকা উদ্ধার হওয়ার পর। এই টাকা কোথা থেকে এল, তার কোনও ব্যাখ্যা ওই কর্তা দিতে পারেননি। অফিসাররা জানতে পারছেন, তার অবৈধ খননে যাতে বাধা না দেওয়া হয়, সেজন্য মাসোহারা পৌঁছে যেত সিআইএসএফ ও পুলিসের কাছে। অনেক উপর পর্যন্ত যেত টাকার ভাগ। এখনও পর্যন্ত সিআইএসএফ-এর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দু’জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এক একজনকে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্তও দেওয়া হতো। পদ বড়ো হলে বাড়তো টাকার অঙ্ক। নেতাদের আরও বেশি হারে মাসোহারা যেত। উদ্ধার হাওয়া তালিকা ঘেঁটে অফিসাররা দেখছেন, কোড ওয়ার্ড ব্যবহার করা হতো নেতা, পুলিস সিআইএসএফ, ইসিএল সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসার এবং পদস্থ কর্তাদের জন্য। কার কাছে কীভাবে টাকা যাবে, পুরোটা ঠিক করতেন লালা। তার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির মাধ্যমে এই টাকা যেত। এমনকী কোম্পানির ভুয়ো লেনদেন দেখিয়েও ঘুরপথে তাঁদের কাছে টাকা গিয়েছে বলে জেনেছে সিবিআই। পদ অনুসারে ছিল আলাদা আলাদা খামের রং। তাঁদের কয়েকজনের নাম হতে এসেছে সিবিআইয়ের।
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিসে বদলিতেও প্রভাব খাটাতেন লালা। যাতে পুরনো সেট আপ বজায় রেখে নিজের ব্যবসা চালাতে সুবিধা হয়। সিবিআই জানতে পারছে, এফআইআর-এ নাম থাকা ইসিএলের জেনারেল ম্যানেজার সহ অন্য অভিযুক্তদের বদলি আটকাতে তৎপর হয়ে ওঠেন লালা। একই কাজ করেন সিআইএসএফ ও রেলের কয়েকজন পদস্থ কর্তার জন্য। তবে লালার ঘনিষ্ঠ মহল ও আইনজীবীদের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরো ভিত্তিহীন। তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।