অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে বালি, বেলুড়, উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর স্টেশনে ভিড় উপচে পড়ে। লোকাল বাতিলের খবর জেনে অনেকে এদিন অনেকটা আগেভাগে স্টেশনে এসেছিলেন। কিন্তু সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে তিনটি শেওড়াফুলি লোকাল, তিনটি ব্যান্ডেল লোকাল ও একটি শ্রীরামপুর লোকাল বাতিল থাকায় বিপুল সংখ্যক যাত্রীর চাপ গিয়ে পড়ে হাওড়া-বর্ধমান মেইন ও কর্ড লাইনের বাকি ট্রেনগুলিতে। পরপর দু’টি ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল বাতিল থাকার পর ১০টা নাগাদ এই শাখার পরবর্তী ট্রেনটি বালি স্টেশনে ঢুকলে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি লেগে যায়। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত ট্রেনের দরজায় ঝুলে পড়েন কেউ কেউ। সুশীল কুমার নামে এক নিত্যযাত্রী বলেন, ‘আমিও রেলে চাকরি করি। আগামী এক মাস কপালে কী আছে, আজই বোঝা গেল। এক ঘন্টা আগে স্টেশনে এসেও ট্রেন পেলাম না।’ কয়েকজন যাত্রীকে ব্যান্ডেল লোকাল থেকে বালি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চে বসে হাঁপাতে দেখা গেল।
ক্ষুব্ধ এক যাত্রী বালি স্টেশনে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে তিনদিনের জন্য ব্যান্ডেল স্টেশন ব্লক করে সিগন্যাল সিস্টেমের কাজ হয়েছিল। তখন রেল বলেছিল, আর নাকি ট্রেন লেট হবে না। কোথায় সমস্যা মিটল?’ চুঁচুড়ার বাসিন্দা গোপাল দাস ভিড়ে ঠাসা শ্রীরামপুর স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন চোখেমুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে। তিনি বললেন, ‘১১টা ৫০ থেকে এক ঘণ্টা হতে চলল, একটাও ট্রেন আসেনি।’ তার আগে যে ট্রেন গিয়েছে, সেটায় উঠলে বেঁচে থাকতাম কি না, জানি না। এতদিন যাতায়াত করছি, এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।’ প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন আপ ও ডাউনে ৩০টি ব্যান্ডেল লোকাল, ২২টি শেওড়াফুলি লোকাল, চারটি করে বেলুড় মঠ ও শ্রীরামপুর লোকাল বাতিল করা হয়েছে।