নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হয়েছে গত ৫ মার্চ। এর মধ্যে তারা দেওয়াল লিখন, পুজো-যজ্ঞ ইত্যাদি সেরে প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত না হওয়ায় তারা কিছুটা মিইয়ে ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় বামজোট তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেওয়ায় চাঙ্গা বাম শিবির সঙ্গে সঙ্গেই জোরদার প্রচারে নেমে পড়ে। ওই রাতেই প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল বের হয় একাধিক জায়গায়। শুরু হয়ে যায় দেওয়াল লিখন। জগৎবল্লভপুরে সংযুক্ত মোর্চার তরফে আইএসএফ প্রার্থী দেবে। সেই নাম ঘোষণা না হলেও কিছু দেওয়াল লিখন সেখানেও শুরু হয়ে যায়। বালি, উত্তর হাওড়া, শিবপুর, সাঁকরাইল কেন্দ্রগুলিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রার্থীরা রীতিমতো বাড়ি বাড়ি প্রচারে নেমে পড়েন। প্রচারের বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, প্রার্থীদের নাম প্রকাশের আগে আমরা যেখানে যেখানে সভা, মিছিলের অনুমতি নিয়েছিলাম, সেসব জায়গাতেই বুধবার রাতে বড় মিছিল হয়েছে। আর প্রার্থীরা তাঁদের পাড়া, আশপাশে প্রচার সেরেছেন বৃহস্পতিবার সকালে। শুধুমাত্র সভা বা মিছিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে উত্তর হাওড়ায় তাদের শো-কজ করা হয়েছে। উদয়নারায়ণপুরেও একই অভিযোগ হয়েছে বলে জানান বিপ্লববাবু।
ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একমাত্র আমাদের ক্ষেত্রে পান থেকে চুন খসলেও অতি সক্রিয় হয়ে উঠছে। তবে আমরা যা করার নিয়ম মেনেই করব। বালি বিধানসভা কেন্দ্রে এবার ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বামেদের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তিনি বুধবার রাতেই বালি ও লিলুয়াতে দলীয় কার্যালয়ে কর্মিসভা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে বালি বাজারে প্রচার সেরে তিনি বালি জুটমিলের শ্রমিক মহল্লায় গিয়ে প্রচার করেন। শিবপুর, সাঁকরাইল, উত্তর হাওড়ায় প্রার্থীরাও এদিন শিবরাত্রির ছুটির দিনে প্রচার সারেন। বিজেপির প্রার্থী তালিকা কবে সামনে আসবে, তা এখনও বলতে পারছেন না জেলার নেতারা। তার আগেই প্রচারে ঝড় তুলে তৃণমূল-বিরোধিতার পরিসর দখল করতে তৎপর হয়েছেন জেলার বাম নেতাকর্মীরা।