উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বীজপুর থেকে বরানগর। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল তথা বারাকপুর মহকুমায় ১২টি আসন রয়েছে। ২০১৬ সালে তার মধ্যে ন’টি আসনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। কয়েক মাস পর উপনির্বাচনে আরও একটি আসনে জয়ী হয় ঘাসফুল। এবার অন্যান্য দলের তুলনায় অনেক আগেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে মাঠে নেমেছে শাসকদল। দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি চলছে মিটিং, মিছিল, সভা। বীজপুর থেকে বরানগর পর্যন্ত দেওয়াল লিখনে এবার নানা চমক এনেছে এই শিবির। বারাকপুরের একাধিক দেওয়ালে বড় বড় করে লেখা—‘খেলা হবে’। তৃণমূল প্রার্থী চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী প্রথম দিন প্রচারে এসে কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, সব দেওয়াল লিখে ভরিয়ে দিন। খেলা হবেই। এতে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন।
কোথাও কোথাও আবার ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে ছড়াও লেখা হয়েছে। যেমন, বরানগরে গোপাললাল ঠাকুর রোড সংলগ্ন একটি দেওয়ালে লেখা হয়েছে, ‘২১শে খেলা হবে, বাংলায় মমতাই রবে’। আবার বারাকপুর শহরে ফ্লাইওভার থেকে নেমে শান্তিবাজার যাওয়ার গলিতে লেখা হয়েছে, ‘চোরেরা সব পালিয়ে যাক, এই বাংলায় দিদি থাক/দিদির নামেই ভোট হবে, সবুজ আবির খেলা হবে’। কিছুটা দূরে একটি জায়গায় উত্তরপ্রদেশের যোগী রাজ্য নিয়েও আক্রমণ করে দেওয়াল লিখেছেন দলের কর্মীরা। লেখা হয়েছে, ‘যোগী দিচ্ছে বড় ভাষণ, নিজের রাজ্যে নেই কোনও শাসন/ রামের রাজ্যে পুড়ছে সীতা, প্রতিবাদ করলে মরছে পিতা’।
বারাকপুর সহ একাধিক জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পকে ছড়ার আকারে দেওয়াল লিখনে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন, নোনাচন্দনপুকুরের একটি দেওয়ালে ঘাসফুলের চিহ্ন দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাই, দিদিমণি তোমাকেই চাই’। তৃণমূল নেতা তথা বারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাস বলেন, আমাদের দেওয়াল লিখন অনেক আগেই শুরু হয়েছে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তাঁরা এবারও আমাদের সব প্রার্থীকে আশীর্বাদ করবেন।
বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, আমাদেরও দেওয়াল লিখন চলছে। দু’-একদিনের মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাবে। তাই এখন প্রতীক আঁকা হচ্ছে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আমরাও ভালো ফল করব।