সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
মোদি সরকারের পাখির চোখ যে বাংলাই, তা বোঝাতে এদিন উম-পুন ও পিএম কেয়ার্স ফান্ডের প্রসঙ্গ আনেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আজ আমরা ভালো কাজ করছি বলেই ওদের বড় হিংসে। এখানে কোভিডে খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কেন্দ্র দিয়েছে ১৯১ কোটি টাকা।’ প্রশ্ন তুলেছেন, কয়েকটা ভেন্টিলেটর ছাড়া আজ পর্যন্ত করোনার জন্য কী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? মমতার অভিযোগ, ‘বিজেপি পকেট থেকে চিরকুট বের করে বলছে, এই কাজটা করে দেবে। কিন্তু টাকা কে দেবে? উম-পুনে অ্যাডভান্স হিসেবে কেন্দ্র দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। পরে তা কেটে নেবে। এখন উম-পুনের ২৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আমি কোর্টের কথা বলছি না। জনগণের কথা বলছি। কেউ যদি এক হাজার বা দু’হাজার টাকা নিয়ে থাকে, আমরা রিভিউ করে সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু বদনাম করার জন্য কেন্দ্র অনেক কিছু করছে।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। বলেছেন, ‘পিএম কেয়ার্সে কত লক্ষ কোটি টাকা জমা হয়েছে, আজ পর্যন্ত কেউ জেনেছে? অডিট হয়েছে? ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। যতই জেলে ভরার চেষ্টা কর, আর যতই এজেন্সিকে লাগাও, কিছুই হবে না।’
বাংলার মন পেতে সম্প্রতি বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী। দু-এক লাইন কবিতাও বলছেন। সেই প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘বাংলাকে তো টার্গেট করবেই। বাংলায় ভোট আসছে যে!’ তিনি নিজেও বিভিন্ন ভাষা জানেন। কিন্তু কোনওদিন গর্ব করেন না, জানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘পাবলিসিটি করার দরকার নেই। আমি যে কোন রাজ্যে গেলে প্রথমে সেই রাজ্যেরই ভাষাতেই কথা বলি। সুতরাং এসব নাটক অনেক হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তাঁর জবাব, টেলিপ্রম্পটার নয়, ভাষা অন্তর থেকে বলতে হয়।
দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে তিনি সম্মান করেন। সেটা রক্ষা করার জন্যও মোদির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আঙুল তুলে বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যেক দিন দোষী সাব্যস্ত করবেন না। হেনস্তা করবেন না। বেঙ্গল আজ যা ভাবে, ভারত তা কালকে ভাবে। বাংলা সব সময় এগিয়ে থাকে। যখন সব রাজ্য ভয়ে চুপ করে থাকে তখন বাংলা গলা চড়ায়। এটা গুজরাত নয়। উত্তরপ্রদেশও নয়। এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে অশান্তি চলবে না।’