সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূল জিতেছে ২৯টি আসনে। যদিও মমতা মনে করেন নির্বাচন কমিশন এবং অবজারভারদের পক্ষপাতিত্বের ফলে বিজেপির বেশ কয়েকটি আসনে জিতে গিয়েছে। না হলে তৃণমূলের জয়ের সংখ্যা ৩৪ থেকে ৩৫’ এ গিয়ে দাঁড়াত। এখানেই ভোটের ফলের পরিসংখ্যান টেনে এনে বিজেপিকে খোঁচা দেন মমতা। বলেছেন, ২০১৯ সালের ভোটের ফলাফলে আমরা ১৬১টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিলাম। আর বিজেপি এগিয়েছিল ১২১ আসনে। এবার ২০২৪ সালের ভোটের ফলে ১৯২ আসনে আমরা এগিয়ে আছি। আর বিজেপি এগিয়ে আছে ৯০ আসনে। ২০১৯’এ মোট ১২১টি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার তাদের ফল খারাপ হয়েছে। এবারের ভোটের ফলের নিরিখে এদিন প্রার্থীদের মূল্যায়ন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বহরমপুরে দুর্দান্ত ফলের জন্য ইউসুফ পাঠানকে ‘জায়েন্ট কিলার’ তকমা দেন। লড়াই করে জয়ী হওয়ায় মিতালী বাগ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শর্মিলা সরকারদের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন তিনি। উত্তম বারিকের উদ্দেশ্যে মমতা বলেছেন, কাঁথিতে সে বাঘের বাচ্চার মত লড়াই করেছে। এছাড়াও বিষ্ণুপুরে সুজাতা মন্ডল যেভাবে লড়াই করে অল্প ভোটের ব্যবধানে হরেছেন, তারও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন মমতা। সূত্রের খবর, এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেকর্ড মার্জিনে জয় এবং রাজ্যজুড়ে তাঁর প্রচার কর্মসূচি নিয়েও বৈঠকে ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের খারাপ ফলের জন্য মমতার রোষের মুখে পড়েছেন জেলার নেতারা। সেখানকার সাংগঠনিক রিপোর্ট নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী। এমনকী প্রচারপর্বে তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের আচরণে স্বয়ং দলনেত্রী এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তাঁকে সকলের সামনেই ধমক পর্যন্ত দিয়েছেন বলে খবর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি অংশে ভোটে ‘অন্তর্ঘাতে’র অভিযোগ নিয়েও সিরিয়াস মমতা। জানা গিয়েছে, আসানসোলের বিষয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটককে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেছেন, তুমি শত্রুঘ্ন সিনহাকে আরও সাহায্য করতে পারতে! বাঁকুড়ার অরূপ চক্রবর্তীর কাছে মমতা জানতে চান, কেন পাশের কেন্দ্রের প্রার্থী সুজাতা মন্ডলকে সাহায্য করলে না! এদিকে, মালদহ, জলপাইগুড়ি জেলার ফলাফল নিয়ে মমতা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এছাড়াও কলকাতার যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে, তা নিয়েও মমতা দলীয় নেতাদের কাছ থেকে কৈফিয়ৎ তলব করেছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্টোডাঙার আবাসনে বিজয় উৎসবের নামে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে অসন্তুষ্ট মমতা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর পরামর্শ, সেখানে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসার। কোচবিহার আসন ছিনিয়ে আনার জন্য জেলা তৃণমূল টিমের প্রশংসাও করেছেন মমতা। তবে প্রত্যাশিত যে আসনগুলিতে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে, সেখানে ‘ময়নাতদন্ত’ করবে দল। কারও গাফিলতি ধরা পড়লে দল যে কড়া ব্যবস্থা নেবে, সেটাও দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।