সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। বিকল্প কাজ দিতে ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মশ্রী প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। নির্বাচন ঘোষণার আগেই তার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যায়। কেন্দ্রের বঞ্চনার জবাব দিয়ে পাল্টা এই প্রকল্প চালু করেন তিনি। এর ফলে দীর্ঘ তিনমাস ধরে চলা নির্বাচন পর্বেও গ্রামের লোকজনের হাতে কিছু কাজ ছিল। রাজ্যের চালু করা এই ‘৫০ দিনের কাজের’ ফলে হাজার হাজার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়েছে। নয়া আর্থিক বছরে প্রায় ৭৫ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারকে কাজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে নির্বাচনের সময় এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
আপাতত ২১টি দপ্তর থেকে বিভিন্ন কাজ দেওয়া হয়েছে। আসতে আসতে সেই সংখ্যা এবার বাড়বে বলে খবর। সরকারি সূত্রে খবর, নদীয়া জেলায় সর্বাধিক মানুষ কাজ পেয়েছেন। এরপর রয়েছে বীরভূম, কোচবিহার, দার্জিলিং, মালদহ। কর্মদিবস সৃষ্টির ক্ষেত্রেও শীর্ষে রয়েছে নদীয়া। পঞ্চায়েত দপ্তর সব থেকে বেশি কাজ দিয়েছে। তারপর রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। গত বছর ৫২টি দপ্তর থেকে এই জবকার্ড হোল্ডারদের বিকল্প কাজ দেওয়া হয়েছিল।
মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভাগ রয়েছে। যেমন, দক্ষ কর্মীরা পাবেন দিন পিছু ৫০০ টাকা। আংশিক দক্ষদের ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে রোজ ৩৭৫ টাকা করে। আর অদক্ষ কর্মীরা পাচ্ছেন প্রতিদিন ২৫০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, যেখানে যেমন চাহিদা তৈরি হবে, তা ব্লক বা পঞ্চায়েত অফিসে জানাবেন এই জবকার্ড হোল্ডাররাই। সেই মতো কাজ বণ্টন করা হবে। সরকারি উদ্যোগে গ্রামে গ্রামে এই কাজ পেয়ে খুশি মানুষ। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে থাকায় অনেকেই যখন দিশাহারা, তখন গ্রামেই বিকল্প কাজ পেয়ে বাড়তি রোগজারের পথ খুলে গেল বলে তাঁরা মনে করছেন। প্রসঙ্গত, গত আর্থিক বছর বিভিন্ন দপ্তর ৬৪ লক্ষের বেশি জবকার্ড হোল্ডারকে কাজ দিয়েছিল।