সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এমপি খুনে নেপালে আটক সিয়ামকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, খুনের সুপারি নেওয়া আমানুল্লাহর কথা অনুযায়ী সে গত ৬ মে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসে। নিউটাউন এলাকার একটি হোটেলে সিয়াম ছিল। এখানে তার থাকার ব্যবস্থা করেন খুনের পরিকল্পনাকারী মার্কিন প্রবাসী বাংলাদেশি আখতারুজ্জামান শাহিন। এরপর সিয়াম গিয়ে শাহিনের সঙ্গে অন্য একটি হোটেলে দেখা করে। কীভাবে এমপিকে খুন করা হবে, সেটা তাকে বুঝিয়ে দেন শাহিন। তার কথামতো নিউমার্কেট এলাকা থেকে বড় ছুরি কিনে আনে সিয়ামকে। সেটি তুলে দেয় ‘কসাই জিহাদ’কে। একইসঙ্গে নিউমার্কেট এলাকা থেকে কেনা হয় প্লাস্টিকের প্যাকেট। বিভিন্ন মাপের প্যাকেট নেওয়া হয়। প্যাকেট কেন কিনে আনা হয়েছে, এ বিষয়ে শাহিনের বান্ধবী সিলাস্তি জানতে চাইলে, তাকে বলা হয় বাংলাদেশে ভালো প্যাকেট পাওয়া যায় না। খুনের পর দেহাংশ ভরার জন্য তাই এগুলি কেনা হয়েছে। খুনের সময় সিয়াম নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে ছিল। এরপর দেহাংশ খণ্ড খণ্ড করে ছুরি সমেত তা ট্রলি ব্যাগে ভরে সে বাগজলা খালে ফেলে আসে। সিয়াম জেরায় জানিয়েছে, এমপি ঘরে ঢোকার পর তাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয় সে ও ফয়সাল। এরপর এমপি’র মুখে বালিশ চেপে ধরে তনভির ও ফয়সাল। এই কাজে সহযোগিতা করে শাহিনের বান্ধবী। শনিবার সিয়ামকে বারাসত আদালতে হাজির করে সিআইডি তরফে সরকারি আইনজীবী বলেন, সিয়ামকে নিয়ে গিয়ে খণ্ডিত দেহাংশ ও ছুরি উদ্ধার করতে হবে। তাকে জেরা করে খুনের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য জানার দরকার। সেই কারণে তাকে হেফাজতে নেওয়ার দরকার আছে। সিয়ামের তরফে এদিন কোনও আইনজীবী ছিলেন না। সওয়াল শেষে তাকে সিআইডি হেফাজতে পাঠানো হয়।