সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
শুধু দুর্ভোগে শেষ নয়, ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে খড়দহে ট্রেন থেকে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর। তিনি টিটাগড়ের বাসিন্দা। নাম মহম্মদ আলি হাসান আনসারি (২২)। কোনওরকমে ট্রেনের দরজায় পা রেখে ঝুলতে ঝুলতে অফিস যাচ্ছিলেন। টিটাগড় ও খড়দহ স্টেশনের মাঝে ভিড়ের চাপে ঠেলাঠেলিতে ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, ‘এই মৃত্যুর ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত করা হবে। তারপর ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেল।’
শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২ বগির ট্রেন চালানোর পরিকাঠামো নেই। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে রেলওয়ে ট্র্যাক, ওভারহেড কেবল, সিগন্যালিং ও প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কাজ শুরু হয়। তার জেরেই শুক্রবার সকাল থেকে শুরু দুর্ভোগের। শিয়ালদহ ছাড়াও দমদম, বারাকপুর, বারাসত সহ মেইন লাইনের প্রতিটি স্টেশনে ভিড় উপচে পড়ে। আর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সিংহভাগ ফ্যান বন্ধ থাকায় তীব্র গরমে কার্যত পুড়তে বাধ্য হন যাত্রীরা।
এরপর ট্রেনের ঘোষণা হতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। প্ল্যাটফর্মে পড়ে জখম হন বহু যাত্রী। ট্রেনে উঠতে পারলেও, ভিড়ের চাপে অনেকে গন্তব্য স্টেশনে নামতে পারেননি। আর যাঁরা উঠতে পারেননি, তাঁরা বাস ও অটো করে কয়েক ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছন। এমনকী বহু নিত্যযাত্রী অ্যাপ ক্যাবেও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে যেতে এদিন বাধ্য হয়েছেন। বি টি রোড, যশোর রোডের প্রতিটি বাসেও ছিল বাদুড়ঝোলা ভিড়।
আগাম যন্ত্রণা আঁচ করে বারাকপুর থেকে ডানলপ ও দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত সরকারি বাস পরিষেবা চালু করা হয়। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল অপ্রতুল। মেট্রোর ভিড় দুর্গাপুজোর অষ্টমীকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। তিতিবিরক্ত যাত্রীদের অভিযোগ, রাতেও শিয়ালদহে পা রাখার জায়গা ছিল না। প্রতিটি স্টেশনে আগাম প্রচার ছাড়াই রেল তড়িঘড়ি কাজ শুরু করায় এই চরম পরিস্থিতি।