সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এই খুনে মূল ষড়যন্ত্রী আখতারুজ্জামান শাহিন এখন আমেরিকায়। সিআইডি এই ঘটনায় ‘কসাই জিহাদকে’ গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদিকে, তিনজন ধরা পড়েছে বাংলাদেশ পুলিসের হাতে। অভিযুক্তদের জেরা করে সিআইডি ও বাংলাদেশ পুলিস জেনেছে, আনারের দেহাংশ টুকরো করার জন্য জিহাদকে মাংস কাটার বড় ছুরি সরবরাহ করেছিল সিয়াম। আনারের দেহ খণ্ড খণ্ড করার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা রয়েছে। ১৫ মে সে কলকাতা ছেড়ে বিহার হয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছয়। খবরটি পেয়েই সিআইডি ও বাংলাদেশের পুলিসের তরফে জানানো হয় নেপাল পুলিসকে। কাঠমান্ডুর পুলিস অফিসাররা সিয়ামকে আটক করেন। ডিবির শীর্ষ কর্তারা নেপালে গিয়ে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন। তাকে জেরাও করা হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। তাই বিষয়টি তারা সিআইডিকে জানায়। শুক্রবার বাংলাদেশ ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, আনার হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিস এবং পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি যৌথভাবে কাজ করছে। সিআইডি নেপাল থেকে সিয়ামকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। যদিও সরকারিভাবে সিআইডির কোনও কর্তা সিয়ামকে হেপাজতে নেওয়ার কথা স্বীকার করেননি।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের একটি দল পশ্চিমবঙ্গ থেকে নেপালে গিয়েছে। তারা কাঠমান্ডু পুলিসের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেক আইনি জটিলতা রয়েছে। সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করছেন নেপাল ও ভারত—দুই দেশের পুলিস কর্তারা। তদন্তের যাবতীয় নথি নেপাল পুলিসকে দেওয়া হয়েছে। সিয়ামকে এই মামলায় কেন দরকার, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন অফিসাররা।
এই অভিযুক্তকে কলকাতায় আনার পর জিহাদের সঙ্গে মুখোমুখি বসানো হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিসের হেফাজতে থাকা তিন অভিযুক্তকে ভিডিও কনফারেন্সে নিয়ে সিয়ামের সামনে হাজির করাবেন তদন্তকারীরা। খুনের বিষয়ে তাদের দেওয়া বয়ানের সঙ্গে সিয়ামের বয়ান যাচাই করা হবে। সূত্রের খবর, সিয়ামকে পরে বাংলাদেশ পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।