সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
শচীনের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন টি-২০ বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর যুবরাজ সিং। কিছুক্ষণ পরে তিনি ডেকে নিলেন শচীনকে। চলে এলেন লারাও। দুই বাঁ-হাতিকে দুপাশে রেখে একফ্রেমে বন্দি হলেন শচীন। একফাঁকে একদা সতীর্থ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে মজার ছলে বেসবলও খেলে নিলেন তিনি। বৃষ্টিতে দেরিতে শুরু হয়েছিল রবিবারের মেগা ম্যাচ। প্রথম বল গড়ানোর আগে এমনই হালকা মেজাজে দেখা গেল মহাতারকাদের।
তবে স্টাইলের দিক দিয়ে অনন্য ক্রিস গেইলই। ভারত-পাকিস্তান মহারণ উপলক্ষে মার্কিন মুলুকে হাজির তিনিও। পরনের সাদা জ্যাকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ। জ্যাকেটের একহাতে আবার ভারতের তেরঙা আঁকা। অন্যহাতে পাকিস্তানের পতাকার সবুজ রং। দু’পক্ষকেই সঙ্গে রেখে চলতে চাইছেন, বুঝিয়ে দিলেন তিনি। টসের আগে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে খানিকক্ষণ আড্ডা দিলেন ‘ইউনিভার্স বস’। বাবর আজমের সঙ্গে অবশ্য এই ছবি ধরা গেল না।
তারকার হাটে ক্রিকেট মহলের আগ্রহের কেন্দ্রে যথারীতি ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ শচীনই। তাঁর উপস্থিতি টের পেতেই গ্যালারিতে উঠল চেনা ‘শচীন, শচীন’ গর্জন। তারিয়ে তারিয়ে তা উপভোগ করলেন লিটল চ্যাম্পিয়ন। দর্শকাসনে স্ত্রী ও মেয়ের পাশে বসে দেখলেন খেলা। অতীতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার এই ম্যাচে তাঁর ব্যাটেই উড়ত স্বপ্নের মশাল। আবার মুম্বইকর আউট হলে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা ডুবে যেত হতাশার অন্ধকারে। আইসিসি’র পোস্ট করা ভিডিওতে বিশ্বকাপে প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। শচীনের কথায়, ‘এই ম্যাচ বরাবরই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের, দমবন্ধকরা উত্তেজনার। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়াতে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে প্রথমবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিলাম। তারপর থেকে যতবার কাপযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছি, প্রতিবারই মারাত্মক উত্তেজক ম্যাচ হয়েছে। উভয় দলই এই মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকে। সেরাটা উজাড় করে দেয়। এই ম্যাচে আমার একটাই চাওয়া— ভারতের জয়।’ গুঞ্জন চলছিল মহেন্দ্র সিং ধোনিও ভারত-পাক ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু ভক্তদের সেই আশা পূরণ হল না। জানা গিয়েছে, আমেরিকা সফরের ভাবনা সরিয়ে রেখে পরিবারের সঙ্গে ইউরোপ সফর সেরেছেন মাহি। তারই মধ্যে ফরাসি ওপেনে পুরুষদের সিঙ্গলস সেমি-ফাইনাল ম্যাচও দেখেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।