নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কুয়েত ম্যাচের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেন তিন ফুটবলার। শুভাশিস বসু, লালচুংনুঙ্গা আর অময় রানওয়াডেকে বাইরে রেখে শনিবার কাতার উড়ে গেল স্টিমাচ-ব্রিগেড। ঘরের মাঠে কুয়েতের বিরুদ্ধে ড্র করে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের পর কঠিন করেছেন গুরপ্রীতরা। আগামী মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে প্রবল শক্তিশালী কাতারের মুখোমুখি হবে ভারত। জিতলে, পরের রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত। ড্র হলে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাপে টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার গুরপ্রীত সিংয়ের মন্তব্য, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব সবাই জানে। কঠিন সময়ে সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে।’ এশিয়ার পাওয়ারহাউস কাতার ইতিমধ্যেই পরের পর্বে পা রেখেছে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যত দ্বিতীয় সারির দল নামিয়ে ড্র করে তারা। স্টিমাচ ব্রিগেড কী পারবে পাশার দান উল্টে দিতে? ক্রোট কোচকে নিয়ে ফুটবল মহল অবশ্য খুব একটা আশাবাদী নয়। গালভরা অজুহাত ছাড়া তাঁর অবদান প্রায় শূন্য। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, সুনীল ছেত্রীর অবসরের সঙ্গেই কোচ ইগর স্টিমাচের চেয়ারও নড়বড় করছে।
এদিকে, কাতার ম্যাচের স্কোয়াডে রহিম আলি ছাড়া নেই কোনও বঙ্গসন্তান। অথচ গত মরশুমে ঘরোয়া ফুটবলে তিন প্রধানের জয়জয়কার। ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপ ছাড়াও আইএসএলের ‘লিগ শিল্ড’ চ্যাম্পিয়ন মোহন বাগান। মহানদীর পাড়ে সুপার কাপের শিরোপা ছিনিয়ে নেয় ইস্ট বেঙ্গল। পাশাপাশি আই লিগের খেতাব জিতে আইএসএলে পা রেখেছে মহমেডান স্পোর্টিং। ক্লাব ফুটবলে ট্রফির জোয়ার এলেও কতটা এগিয়েছে রাজ্যের ফুটবল? প্রীতম কোটাল আগেই বাদ পড়েছেন। টিমটিম করে জ্বলতে থাকা শুভাশিসও এবার রিংয়ের বাইরে। সন্তোষ ট্রফিতেও বাংলার পরিচিত দাপট উধাও। গত মরশুমে গ্রুপ লিগের বাধা টপকাতে ব্যর্থ ৩২ বারের চ্যাম্পিয়নরা। পরিস্থতি হতাশাজনক হলেও আশা হারাতে নারাজ আইএফএ কর্তারা। সচিব অনির্বাণ দত্তের মন্তব্য, ‘ঘরোয়া লিগ থেকেই প্রতিভা উঠবে।’