সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
তবে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের আবহেও ক্রিকেট মহলের আকর্ষণ কেড়ে নিচ্ছে নাসাউ কাউন্টির বাইশ গজ। অসমান বাউন্সের এই ‘ড্রপ ইন’ পিচে ব্যাটিং কঠিন তো বটেই, পাশাপাশি বিপজ্জনকও। গুড লেংথ স্পট থেকে আচমকা লাফাচ্ছে বল। রোহিত যেমন আইরিশদের বিরুদ্ধে বাহুতে আঘাত পেয়েছিলেন। ঋষভ পন্থের বাঁ কনুইয়েও লাগে বল। যশপ্রীত বুমরাহর ডেলিভারি মাথায় লেগেছিল হ্যারি টেক্টরের। ভারতীয়রা তাই এমন পিচের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতিতে জোর দিয়েছেন। তাতেও চোট এড়ানো যায়নি। থ্রো-ডাউন স্পেশালিস্ট নুয়ান সেনেবিরত্নের ছোড়া বল আচমকা লাফানোয় শুক্রবার বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে আঘাত লাগে রোহিতের। অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলে ভারত অধিনায়ক অবশ্য তারপরও ব্যাটিং চালিয়ে যান। তবে পিচ নিয়ে দুশ্চিন্তা আরও জাঁকিয়ে বসেছে শিবিরে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া বিরাট কোহলির দিকে সেজন্যই তাকিয়ে ভক্তরা। দু’বছর আগে সবুজ জার্সিধারীদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় এই আসরেই অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি। শনিবার অবশ্য বিরাট-রোহিতদের কেউই আসেননি নেটে। শুধু সঞ্জু স্যামসন ও শিবম দুবেকে দেখা যায় গা ঘামাতে।
সকালের কন্ডিশনে ব্যাট করতে নামা এমনিতেই চ্যালেঞ্জের। সিম ও সুইং সহায়ক পরিবেশে পেসাররা বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন এখানে। প্রথম দুই ম্যাচের চার ইনিংসে একশো পেরোয়নি কোনও দল। শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে থেমে যায় যথাক্রমে ৭৭ ও ৯৬ রানে। রান তাড়া করা দল জিতে যায় অনায়াসে। টস তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সকাল সাড়ে দশটায় শাহিন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ আমির, নাসিম শাহদের সামলানো সহজ হবে না কোনও মতেই। তা সে টিম ইন্ডিয়া যতই বাঁ হাতি পেসারের বিরুদ্ধে নেটে প্রস্তুতি নিক। তার উপর মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস রয়েছে। এমনকী, বৃষ্টিও হতে পারে।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন বিশেষজ্ঞ পেসারে দল সাজিয়েছিল ভারত। যশপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে মহম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিংয়ের সেই কম্বিনেশন পাকিস্তান ম্যাচেও অটুট থাকার সম্ভাবনা। চতুর্থ পেসার অবশ্যই গত ম্যাচে তিন উইকেট নেওয়া হার্দিক পান্ডিয়া। এই ম্যাচে চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবকে নামানোর একটা ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্র জাদেজা বা অক্ষর প্যাটেলের মধ্যে কোনও একজনকে বসতে হবে। কিন্তু এই পিচে ব্যাটিং গভীরতা কমিয়ে নামার ঝুঁকি নেওয়া মানে ডালে বসে কুঠার চালানো। পাকিস্তানের সমস্যা অবশ্য অনেক বেশি। এমনিতেই পাহাড়প্রমাণ চাপ বাবরদের ঘাড়ে। তার উপর নাসাউয়ের মাঠে অনুশীলনের সুযোগই পায়নি তারা।
দুনিয়ার যে প্রান্তেই হোক না কেন, এই ম্যাচ মানেই উত্তেজনার আগ্নেয়গিরি। মার্কিন মুলুকও তার ব্যতিক্রম নয়। টিকিট নিঃশেষিত অনেক আগে। হাজির হয়ে গিয়েছেন উভয় দলের সমর্থকরা। তবে প্রশাসনের মাথায় অন্য চিন্তা। জঙ্গি হানার হুমকি রয়েছে এই ম্যাচে। তাই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে স্টেডিয়াম। কয়েক বছর আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্য যেমন সুরক্ষা-বেষ্টনী থাকত, তেমন ব্যবস্থাই নাকি থাকছে এই ম্যাচ ঘিরে।
খেলা শুরু রাত ৮ টায়।