সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, যেভাবে বাঁকা দখল হচ্ছে তাতে আমি উদ্বিগ্ন। লাইফ লাইন বাঁচাতে শহরের বাসিন্দাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বাঁকা বাঁচানোর জন্য শহরের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাঁরা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আবার প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে।
শহরের বাসিন্দারা বলছেন, বাঁকা বাঁচানোর বিষয়টি হাস্যকর হয়ে উঠেছে। বহু বছর ধরেই এই কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কেউই সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। বীরহাটা ব্রিজের কাছে দাঁড়িয়ে শহরের বাসিন্দা পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, জবরদখল ঠেকানো গেলেই বাঁকা বাঁচবে। এখনও বিভিন্ন জায়গায় জবরদখলকারীদের বসানো হচ্ছে। ইছালাবাদ, রথতলা থেকে কালনা গেট সর্বত্র একই ছবি। গলসি থেকে রথতলা পর্যন্ত বাঁকার ছবি একরকম। আবার শহরের ভিতরের ছবি অন্যরকম। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শাসকদলের একাংশের মদতেই জবরদখল চলছে। তবে শুধু বাঁকা নয়, শহরের অন্যান্য জায়গাও সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাচ্ছে। সরকারি জমি দখল করে স্টল তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু বাঁকার পাড় ভরাট করার খেসারত পুরো শহরের বাসিন্দাদের দিতে হচ্ছে। এই নদের গতি ঠিক থাকলে প্রতি বর্ষায় শহরের বাসিন্দাদের নাকাল হতে হতো না।
শহরের এক বাসিন্দা বলেন, প্রভাবশালীদের মদতেই অবৈধ কাজ চলছে। শহরের আর্বজনা পরিকল্পিতভাবে নদে ফেলা হচ্ছে। তাতে নদ আরও মজে যাচ্ছ। জলের রং বদলে গিয়েছে। একসময়ে স্বচ্ছ জল থাকা বাঁকায় এখন দূষিত নোংরা জল বয়ে যায়। পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, বাঁকার পাড়ে নতুন করে যাতে আর কেউ বসতে না পারে তা দেখা হবে। কোথাও নদী ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এই কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কেস করা হবে। কারও কোনও কথা শোনা হবে না। তবে বাঁকা সংস্কার করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। তা পুরসভার পক্ষে একা জোগানো সম্ভব নয়। কীভাবে এই কাজ করা যাবে তা চিন্তাভাবনা করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অন্য সংস্থাগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে।