সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
গত ২৬এপ্রিল হুগলি জেলার বলাগড় থানার সোমরাবাজার বাহারপাড়ার বধূ অন্তরা বিশ্বাসকে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর অন্তরাদেবীর মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হন নবীন হালদার। শিশুকন্যাকে হাসপাতালের এসএনসিইউতে রাখা হয়। দিনকয়েক কেটে গেলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে শিশুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কেউ ওই শিশুকন্যার খোঁজ নিতে আসেনি। এসএনসিইউতেই নার্স-সিস্টার ডাক্তারদের কোলে কোলে বেড়ে উঠতে থাকে। সকলে মিলে তার নাম দেন কথা। অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শিশুর খোঁজ নিতে পরিবারের কেউ না আসায় জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি নিয়ম মেনে বৃহস্পতিবার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির তিন সদস্যের হাতে সুস্থ শিশুটিকে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সুপার গৌতম বিশ্বাস, চিকিৎসক রবিশ কুমার, মানস দত্ত প্রমুখ। দেড় মাস সময় ধরে নার্স-সিস্টারদের কোলে কোলে বড় হওয়া ‘কথা’ চলে যাওয়ার মন ভরাকান্ত সকলের। তাঁরা শিশুর হাতে নতুন খেলনা তুলে দেন।
সহকারী সুপার বলেন, শিশুটিকে নিতে ওর পরিবারের লোকজন তেমনভাবে যোগাযোগ করেননি। তাই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে জানানো হয়েছিল। এদিন প্রতিনিধিদের হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে।