সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় বলেন, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় দমকল কেন্দ্র নির্মাণের কাজ কিছুদিন আটকে ছিল। সেই সমস্যা মিটে যাওয়ায় নির্মাণ শুরু হয়েছে। দ্রুতগতিতে কাজ এগচ্ছে। আশা করছি এই বছরের মধ্যেই দমকল কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁইহাট শহরের মধ্যে একটি দমকল কেন্দ্র গড়ার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। দমকল কেন্দ্র হলে শুধুমাত্র শহরবাসীই নয়, পাশ্ববর্তী গ্রামীণ এলাকার মানুষও উপকৃত হবেন। পুরসভার দেওয়া ৪৭.০৮ শতক জায়গার ওপর গড়ে উঠছে এই দমকল কেন্দ্র। দমকল কেন্দ্র নির্মাণের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। ২০১৪ সালে প্রথম দাঁইহাট পুরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় দমকল কেন্দ্র গড়তে চেয়ে দমকল বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাবিত দমকল কেন্দ্রের জন্য দাঁইহাট শহরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিনেমা হলের পাশে ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডে ৪৭.০৮ শতক বা প্রায় দেড় বিঘা জমি ঠিক করে রাখা হয়েছিল। ওই জমি ছিল পুরসভার। এরপর ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের অর্থদপ্তর দমকল কেন্দ্র গড়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত দেয়। এরজন্য ৪ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। পুরসভা থেকে বলার পর ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পূর্তদপ্তর থেকে প্রতিনিধিদল জমি পরিদর্শন করে যায়। এরপর প্রকল্পের স্কেচ তৈরি করা, মাটি পরীক্ষা করা সবই হয়ে যায়। কিন্তু সরকারিভাবে জমি হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় নির্মাণ আটকে ছিল। তারপর পুরসভা থেকে ওই জমি নিয়ম মেনে হস্তান্তর করা হয় গত বছর। তারপরেই কাজ শুরু হয়ে যায়। এমনিতেই দাঁইহাট শহরে জনবসতি উত্তরোত্তর বাড়ছে। শহরের আশপাশে গ্রামীণ এলাকাগুলিও জমজমাট হচ্ছে। অথচ এই এলাকায় এতদিন দমকল কেন্দ্র ছিল না। অগ্নিকাণ্ড ঘটলে কাটোয়া দমকল কেন্দ্রের ওপরেই সকলকে নির্ভর করতে হয়। তাই দাঁইহাট শহরে দমকল কেন্দ্র নির্মাণের দাবি বারবার জানাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। সেই দাবি এখন পূরণের মুখে।