সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক দেবাশিস মান্না বলেন, এবার দিল্লির মেলায় বাঁকুড়া থেকে সাত মেট্রিক টন আম যাবে। এদিন প্রথম দফায় চার মেট্রিক টন পাঠানো হল। ধাপে ধাপে বাকি আম যাবে। প্রত্যেকবারের মতো এবারও বাঁকুড়ার আম দিল্লিবাসীর মন জয় করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়ায় আম্রপালি প্রজাতির আমের কদর বেশি রয়েছে। তাই এবারও দিল্লিতে বেশিরভাগ আম্রপালিই যাচ্ছে। তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠানো হচ্ছে মল্লিকা, হিমসাগর, গোলাপখাস প্রভৃতি প্রজাতির আম। মেলার স্টলে প্রদর্শনীর জন্য কিছু মিয়াজাকি, ব্যানানা ম্যাঙ্গো প্রজাতির আমও পাঠানো হচ্ছে। চাষিদের বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে তা প্যাকেট করে পাঠাচ্ছে উদ্যান পালন দপ্তর।
উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর লালমাটির জেলায় আমের ফলন অন্য বারের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আধিকারিকদের দাবি, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণেই আমের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তারসঙ্গে বাগানে পুরনো আম গাছের সঠিক পরিচর্যারও অভাব হয়েছে বলে তাঁরা অনুমান করছেন। তবে এজন্য দিল্লির মেলায় আমের জোগানে কোনও ঘাটতি পড়বে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এবার রাজ্য থেকে ছ’টি জেলা দিল্লিতে ম্যাঙ্গো ফেস্টিভালে অংশ নেবে। বাঁকুড়ার পাশাপাশি রয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়া। বিগত বছরে দিল্লির ম্যাঙ্গো ফেস্টিভালে বাঁকুড়ার আম উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে। এবারও দপ্তর সেই ব্যাপারে প্রত্যয়ী।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেকবারের মতো এবারও বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমবায়ের মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে আম সংগ্রহ করেছে উদ্যান পালন দপ্তর। তাঁদের সরকারি সহায়ক মূল্য দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া জেলায় প্রায় সাড়ে ছ’হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়ে থাকে। এবছর প্রায় ২৮ হাজার মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। দিল্লির ম্যাঙ্গো ফেস্টিভালের জন্য দক্ষিণ বাঁকুড়ার রানিবাঁধ, হীড়বাঁধ, সিমলাপাল প্রভৃতি ব্লক থেকে বেশি আম সংগ্রহ করেছে উদ্যান পালন দপ্তর।