সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বেলডাঙা-১ এর বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, গাছ চুরির অভিযোগ এসেছে। আমি বিষয়টি পুলিসকে দেখতে বলেছি। ওই রাস্তায় নজর রাখা হবে। গাছ চুরি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
বেলডাঙা থেকে আনন্দনগর পর্যন্ত প্রায় ছয় কিমি রাস্তা বেশ কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে গিয়েছে। জেলা পরিষদের তরফে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। রাস্তা সংস্কারের সঙ্গে ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তার দু’পাশে শিশু, শিমূল, মেহগনি এবং প্রচুর ফলগাছ লাগানো হয়েছিল। কয়েক বছরেই গাছগুলি যথেষ্ট বড় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন দুষ্কৃতীরা সেই সমস্ত গাছ গোড়া থেকে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথমদিকে রাতের অন্ধকারেই তারা গাছ চুরি করত। এখন সাহস বেড়ে যাওয়ায় প্রকাশ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতী সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অমল পাল বলেন, সবই চোখের সামনে ঘটছে। কিন্তু মুখ খোলার উপায় নেই। মুখ খুললেই দুষ্কৃতীদের আক্রোশে পড়তে হবে। বেগুনবাড়ির বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, রোজ এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। গত তিনদিনে ১০টি গাছ কেটে নিয়ে যেতে দেখেছি। তার চিহ্নও রয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা কী করতে পারি?
১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তার দু’পাশে কয়েক হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল। সঠিক পরিচর্যা হওয়ায় সিংহভাগ গাছ বাঁচানো গিয়েছে। ওই সমস্ত গাছ বড় হয়েছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীরা সেই গাছ কেটে চেরাই করেই ফার্নিচারের কাঠ ও জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করছে। পরিবেশ রক্ষায় বহু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে গাছ লাগিয়ে চলেছেন। অন্যদিকে এই দুষ্কৃতী ও কাঠ পাচারকারীরা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে চলেছে। ভয়ে প্রতিবাদে সাহস পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। প্রশাসন এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে তাকিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা।