জ্ঞাতি ও বন্ধুদের মধ্যে শত্রুবৃদ্ধি ও উদ্বেগ। গুণীব্যক্তি বা উচ্চ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি। আয় ... বিশদ
প্রচারের শেষ দিনে সাঁইথিয়ার আহমদপুরে রোড শো করেন রাজ চক্রবর্তী ও লাভলি মৈত্র। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে চলে সেই প্রচার। প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে আহমদপুর স্কুল ময়দান থেকে শুরু হয় মিছিল। এরপর সমগ্র এলাকা পরিক্রমা করা হয়। লাভলি বলেন, আজকের এই মিছিল মনে হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার নয়, বিজয় মিছিল বের করেছি যেন। মানুষের উচ্ছ্বাস বলে দিচ্ছে অসিত মাল এখানে জিতবে। এরপর লাভলি বিকালে রাজনগরেও রোড শো করেন। অন্যদিকে, দুবরাজপুর শহরে বিধায়ক সিউড়ির বিকাশ রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে বিশাল এক মিছিল হয়। দু’হাত তুলে কর্মীদের সঙ্গে বাজনার তালে তালে নাচতেও দেখা যায় বিকাশবাবুকে। কার্যত এদিন দুবরাজপুরে উৎসবের চেহারা নেয়। পরে রাজনগরেও বিশাল এক র্যালি হয়। এর পাশাপাশি নানুরে পার্টি অফিস থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, স্থানীয় বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। কাজল বলেন, তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করতে চলেছেন। তাই নিজেদের ভোট বিজেপি, সিপিএম বা অন্য কোথাও দিয়ে নষ্ট করবেন না। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে নানুরে কোথাও কোন অশান্তি হয়নি। মানুষ নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে ভোট দেবেন। শুধুমাত্র নানুর বিধানসভা থেকেই এক লক্ষেরও বেশি ব্যবধান হবে তৃণমূলের। প্রার্থী শতাব্দী এদিন সকালে পুরন্দরপুরে ও পরে মহম্মদবাজারে জনসভা করেন। শেষদিনও মানুষের অভাব, অভিযোগের কথা শোনেন তিনি। এছাড়াও সাঁইথিয়াতে এদিন শাসক বিরোধী উভয় দলের প্রচার ছিল জমজমাট। সাঁইথিয়ার হরিশরা, দেরিয়াপুরে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে সাঁইথিয়াতে রোড শো করেন। অন্যদিকে, এদিন নলহাটি শহরে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদের সমর্থনে মহামিছিল করে প্রচার সারেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ধ্রুবজ্যোতি সাহা। অন্যদিকে এদিন হাসন বিধানসভার একাধিক গ্রামে পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে কোথাও জোটের কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে শেষ মুহূর্তের প্রচার সারেন মিল্টন। বিজেপির নেতা কর্মীরা রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই, হাসন সর্বত্র টিম ভাগ হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার সারেন। সেই সঙ্গে চলে ভোটার স্লিপ বিলি। তবে প্রচারে ছিলেন না তাঁদের প্রার্থী। এদিকে মুরারই বিধানসভার চাতরা ও নলহাটির বানিওর গ্রামে ছোট সভার মাধ্যমে প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। দু’টি সভাতেই প্রার্থীকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের উচ্ছ্বাস ছিল যথেষ্ট। দু’টি সভাতেই তিনি রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, একশো দিনের বকেয়া মেটানো ও আবাস প্রকল্পে ডিসেম্বরেই মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা মিলবে বলে প্রচারে তুলে ধরেন। অন্যদিকে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে শেষ মুহূর্তের টিপস দিতে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। গ্রামগঞ্জে শাসক বিরোধী পতাকা, ফেস্টুনে ছয়লাপ। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার করে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করেন। এখন দেখার জনতা জনার্দন কোন দলের প্রতি আস্থাজ্ঞাপন করেন।