উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত ময়ূরেশ্বর, নানুর, লাভপুর, মঙ্গলকোট, বোলপুর, আউসগ্রাম ও কেতুগ্রাম বিধানসভা। নির্বাচনের আগে থেকেই নানুর বিধানসভায় সব থেকে বেশি লিড পাবে তৃণমূল এমনটা দাবি করেছিলেন কাজল শেখ। মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় বোলপুর কেন্দ্রে সবথেকে বেশি তৃণমূলকে লিড দিয়েছে নানুর বিধানসভা। এখানে শাসকদলের জয়ের ব্যবধান ৮২ হাজার ৬০২। বোলপুর ও নানুর ব্লক মিলিয়ে এই বিধানসভায় রয়েছে ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত। তার মধ্যে ১৫টিতেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র কীর্ণাহার ১ নং ও দাসকলগ্রাম কড়েয়া ১নং পঞ্চায়েতেই কিছু ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। অন্যদিকে গত লোকসভা নির্বাচনে নিরিখে একাধিক পঞ্চায়েতে পিছিয়ে ছিল শাসকদল। কিন্তু এইবারে সর্পলেহনা-আলবাঁধা, কঙ্কালীতলা সহ অন্য পঞ্চায়েতেও লিড পেয়েছে তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নানুরে পেয়েছিল ১ লক্ষ ১২ হাজার ১১৬টি ভোট। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছিল ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪৪৬টি ভোট। জয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ৬৬৭০টি ভোটের। সেই জায়গায় এবার তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বেড়েছে প্রায়১৩ গুণ। অন্যদিকে এবার লোকসভায় মঙ্গলকোটে ৪৬ হাজার ৫০৭ ও কেতুগ্রামে ৪৬ হাজার ১২ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি অন্যান্য সব বিধানসভা থেকেই ৪০ হাজারের বেশি ব্যবধান হয়েছে। নানুর, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটে তৃণমূলের ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কাজল। ১৩ মে বোলপুর কেন্দ্রে চতুর্থ দফায় নির্বাচনের পরের দিনই নানুরের পাপুড়ি গ্রামে তৃণমূলের বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেই সময় কাজল দাবি করেছিলেন, সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করবেন অসিত মাল। মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর কার্যত তাঁর অনুমানই সত্যি হয়েছে। কাজল শেখ বলেন, এই প্রথম লোকসভা নির্বাচন হল অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে। তাঁকে মিথ্যা মামলায় জেলে ধরে রাখা হয়েছে। তিনি না থাকায় বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মতো কাজ করে ও তাঁদের দেখানো পথে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্যই এই অভাবনীয় ফল হয়েছে। জয়ের পর সার্টিফিকেট নিচ্ছেন অসিত মাল। সঙ্গে রয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা ও কাজল শেখ। মঙ্গলবার তোলা ছবি।