জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সদ্য সিনেমা হয়েছে হুগলির সাবেক ডন হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে। দোর্দণ্ডপ্রতাপ হুব্বার বিশ্বস্ত সহযোগী ছিল রমেশ মাহাত। হুব্বার মৃত্যুর পরে হাওড়া-হুগলির বিরাট এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল রমেশ গোষ্ঠী। পরে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয় রমেশ। গত পাঁচ-সাত বছর তার তেমন সক্রিয়তা ছিল না। কয়েক বছর আগে তার ছেলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরে একবার রমেশকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। এবার আবার সেই পুরনো ত্রাস তৈরির কায়দার জেরেই প্রকাশ্যে আসছে রমেশ গোষ্ঠীর নাম।
রিষড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, এক প্রোমোটার অভিযোগ করেছিলেন যে, ভয় দেখিয়ে তাঁর নির্মীয়মাণ আবাসন তৈরির প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রাকেশ শ্রীবাস্তব ও বিজয় রাউত। রাকেশ রিষড়ার ও বিজয় বালির বাসিন্দা। ধৃতদের সঙ্গে রমেশ গোষ্ঠীর যোগ মিলেছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনা ঠিক কী হয়েছে? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রিষড়ার মোরপুকুরে ১ নম্বর সরকারি কলোনিতে একটি নতুন আবাসন প্রকল্প শুরু হয়েছে। বিনোদ সিং নামে একজন প্রোমোটার ওই প্রকল্পটি করছিলেন। সেখানে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের কাজ করছিল রাকেশ ও বিজয়। বিনোদ জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করলেও তারা টাকা নিতে চাইত না। এরপর প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা বকেয়া হয়ে যায়। তখন ওই দু’জন টাকা দেওয়ার জন্য বিনোদবাবুকে বালিতে ডেকে পাঠায়। বিনোদ সেখানে যান। অভিযোগ, তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে নির্মীয়মাণ আবাসনের অংশীদারিত্ব লিখে দিতে বাধ্য করা হয়। বিনোদ পুলিসকে জানিয়েছেন, বালিতে অংশীদারিত্ব লিখে দেওয়ার সময়ে রমেশ ও তার ছেলে সেখানে উপস্থিত ছিল। রাকেশ ও বিজয়ও স্পষ্টই জানিয়েছিল, তারা রমেশ গোষ্ঠীর হয়েই কাজ করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেই দশ হাজার টাকা বেতনের কর্মচারী। বালির বাসিন্দা বিজয় রাউতকে বিনোদবাবুর আবাসন প্রকল্পের অংশীদার করা হয়েছিল। এখান থেকেই রমেশ গোষ্ঠীর নতুন ছক প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিসের এক কর্তা বলেন, তোলাবাজি, হুমকি ফোনের থেকে বিষয়টি অনেক বেশি আইনি। সেই কারণেই ঘুরিয়ে প্রেমোটারি ব্যবসার দখল নেওয়ার ছক কষা হয়েছে।