কোন রাস্তায় কত হকার বসছেন, তাঁদের নাম, ছবি ইত্যাদি সব তথ্য জানা যাবে অ্যাপ থেকে। আপাতত শহরের কয়েকটি হকার অধ্যুষিত এলাকাকে ধরে পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করা হচ্ছে অ্যাপটি।
এবার গণপ্রহারের বলি খাস কলকাতায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে শিশু চুরির গুজবকে কেন্দ্র করে গণপিটুনির বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে এবার মোবাইল চোর সন্দেহে কলকাতার বউবাজারে পিটিয়ে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে।
হাওড়াগামী চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় গুরুতর জখম হলেন এক রেলযাত্রী। শুক্রবার হুগলির শেওড়াফুলি স্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝে কার্যত পিষে যান। তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়।
কয়েকদিন আগে নবান্ন সভাঘরের বৈঠক থেকে বেআইনি পার্কিং নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিসের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘যেখানে যত বেআইনি পার্কিং আছে, ভেঙে দিতে হবে। কোনওভাবেই টাকা তোলার জন্য পার্কিং চালানো যাবে না।’
চন্দননগরের প্রবর্তক আশ্রমে পুলিসের উপর হামলার ঘটনায় তিনজন অভিভাবককে পুলিস গ্রেপ্তার করল। শুক্রবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে আশ্রমের অস্থিরতা শুক্রবারও কাটেনি। বৃহস্পতিবার রাতে আবাসিক ও অভিভাবকদের কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল পুলিস।
শুক্রবার নিজের সন্তানকে ফিরে পেতে বারাসতে শিশু কল্যাণ সমিতিতে এসেছিলেন বিরাটিতে ছেলেধরা সন্দেহে আক্রান্ত মহিলা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী। পুলিস নিয়ে এসেছিল তাঁদের। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সন্তানকে ফিরে না পেয়ে হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরলেন এই দম্পতি।
বাগবাজার রথযাত্রা উৎসব ও মেলা এবার পড়ছে দ্বির্তীয় বর্ষে। এই উপলক্ষে ৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব মাঠ প্রাঙ্গণে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব ও মেলা।
ফুটপাত জবরদখল করে থাকা ব্যবসাদারদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল টাকি পুরসভা এবং হাসনাবাদ থানার পুলিস। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় শুক্রবার পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলাররা পুলিসের সহযোগিতায় হাসনাবাদ বাস স্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন এলাকা দখলমুক্ত করতে অভিযান চালান।
হুগলির উত্তরপাড়ায় গঙ্গার জলে তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাশ পড়ছে না। শুক্রবার ভোরবেলা ফের এক যুবক উত্তরপাড়ার রামঘাটে গঙ্গায় তলিয়ে যান। ভারতীয় দল ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার আনন্দে তিনি স্নান করতে নেমেছিলেন।
বৃদ্ধা শাশুড়িকে খুনে দোষী সাব্যস্ত বড় জামাই ও তার এক বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত।
গল্ফগ্রিনে সেন্ট্রাল পার্কের সামনে বড় গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু এক রিকশ চালকের। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে। মৃতের নাম অলোক কয়াল।
উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর ও বারাসত: গুজবে বিশ্বাস করে স্রেফ সন্দেহের বশে নিরীহ পুরুষ-মহিলাকে গণপিটুনির ঘটনা থামছেই না। বুধবার চলন্ত ট্রেনের মধ্যে ঘটল একই ঘটনা। এদিন ডাউন দত্তপুকুর লোকালের মহিলা কামরায় শিশু কোলে এক মহিলাকে দেখে সন্দেহ হয় সহযাত্রীদের। এক সময় শিশুটি কেঁদে উঠলে এবং সঙ্গে থাকা মহিলার কথাবার্তা অন্য যাত্রীদের অসংলগ্ন মনে হলে কামরাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ছেলেধরা গুজব। ওই মহিলা ব্যাগে ভরে শিশু পাচার করছেন বলে মনগড়া কাহিনি রটে যায়। ট্রেন বিরাটি স্টেশনে ঢুকলে মহিলাকে নামিয়ে মারধর করে সহযাত্রীরাই। তারপর স্টেশনজুড়ে তৈরি হয় প্রায় অরাজক পরিস্থিতি। ট্রেন অবরোধ, তা সরাতে পুলিসের লাঠিচার্জ—হুলস্থূল পড়ে যায়। রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটিকে আপাতত চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লুসি) হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে নিয়ে তাঁর দেওয়া ঠিকানার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
যাত্রী ও রেল পুলিসের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দত্তপুকুর লোকাল নির্ধারিত সময়েই ছেড়েছিল। পিছনের দিকের মহিলা কামরায় বছর পঞ্চাশের এক মহিলা বাচ্চা কোলে বসেছিলেন। ট্রেন বিশরপাড়া ষ্টেশনে পৌঁছতেই মাস চারেক বয়সের শিশুপুত্র জোর কান্নাকাটি শুরু করে। প্রবল কান্না শুনে সহযাত্রীরা ওই মহিলাকে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। এসবের মধ্যেই কেউ রটিয়ে দেয়, ছেলেধরা ধরা পড়েছে। কামরাতেই মহিলাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রেনটি বিরাটি স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। মহিলাকে মারতে মারতে ট্রেন থেকে টেনে নামানো হয়। তাঁর হাতে একটি বড় ব্যাগ দেখে কেউ কেউ বলে ওঠে, ওই ব্যাগে ভরেই শিশুপাচার করা হচ্ছিল। উন্মত্ত জনতা সেই খবরে আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। পুলিস মহিলা ও শিশুকে সরিয়ে নিয়ে যেতেই দলে দলে যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হয়ে রেল অবরোধ শুরু করে দেন। ওই মহিলাকে সবার সামনে হাজির করানোর দাবিতে তুলকালাম শুরু হয়ে যায়। ছুটে আসে র্যাফ ও নিমতা থানার বিশাল বাহিনী। শেষ পর্যন্ত পুলিস লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। আধঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রেল পুলিস ওই মহিলা ও শিশুকে বারাসত জিআরপি থানায় নিয়ে যায়। থানার ওসি রুকসানা পারভিন সহ অন্যান্য আধিকারিকরা মহিলাকে দফায় দফায় জেরা করেন। ওই মহিলা পুলিসকে জানিয়েছেন, তাঁর নাম টায়রা। স্বামীর নাম দশরথ। তাঁরা দমদমের রেলবস্তিতে থাকেন। তাঁর ছয় সন্তানের মধ্যে এই শিশুটি সবচেয়ে ছোট। তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্যই তিনি বারাসতে এসেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। এদিন বিকেলে মহিলাকে নিয়ে রেল পুলিসের টিম দমদমে তাঁর দেওয়া ঠিকানার খোঁজে যায়। তবে রাত পর্যন্ত ঠিকানা মেলেনি। তবে মহিলা ওড়িয়া ভাষায় কথা বলছেন। রেল পুলিস জানিয়েছে, মহিলার ঠিকানা ও বাড়ির সদস্যদের খুঁজে পাওয়া গেলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
যাত্রী ও রেল পুলিসের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দত্তপুকুর লোকাল নির্ধারিত সময়েই ছেড়েছিল। পিছনের দিকের মহিলা কামরায় বছর পঞ্চাশের এক মহিলা বাচ্চা কোলে বসেছিলেন। ট্রেন বিশরপাড়া ষ্টেশনে পৌঁছতেই মাস চারেক বয়সের শিশুপুত্র জোর কান্নাকাটি শুরু করে। প্রবল কান্না শুনে সহযাত্রীরা ওই মহিলাকে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। এসবের মধ্যেই কেউ রটিয়ে দেয়, ছেলেধরা ধরা পড়েছে। কামরাতেই মহিলাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রেনটি বিরাটি স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। মহিলাকে মারতে মারতে ট্রেন থেকে টেনে নামানো হয়। তাঁর হাতে একটি বড় ব্যাগ দেখে কেউ কেউ বলে ওঠে, ওই ব্যাগে ভরেই শিশুপাচার করা হচ্ছিল। উন্মত্ত জনতা সেই খবরে আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। পুলিস মহিলা ও শিশুকে সরিয়ে নিয়ে যেতেই দলে দলে যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হয়ে রেল অবরোধ শুরু করে দেন। ওই মহিলাকে সবার সামনে হাজির করানোর দাবিতে তুলকালাম শুরু হয়ে যায়। ছুটে আসে র্যাফ ও নিমতা থানার বিশাল বাহিনী। শেষ পর্যন্ত পুলিস লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। আধঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রেল পুলিস ওই মহিলা ও শিশুকে বারাসত জিআরপি থানায় নিয়ে যায়। থানার ওসি রুকসানা পারভিন সহ অন্যান্য আধিকারিকরা মহিলাকে দফায় দফায় জেরা করেন। ওই মহিলা পুলিসকে জানিয়েছেন, তাঁর নাম টায়রা। স্বামীর নাম দশরথ। তাঁরা দমদমের রেলবস্তিতে থাকেন। তাঁর ছয় সন্তানের মধ্যে এই শিশুটি সবচেয়ে ছোট। তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্যই তিনি বারাসতে এসেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। এদিন বিকেলে মহিলাকে নিয়ে রেল পুলিসের টিম দমদমে তাঁর দেওয়া ঠিকানার খোঁজে যায়। তবে রাত পর্যন্ত ঠিকানা মেলেনি। তবে মহিলা ওড়িয়া ভাষায় কথা বলছেন। রেল পুলিস জানিয়েছে, মহিলার ঠিকানা ও বাড়ির সদস্যদের খুঁজে পাওয়া গেলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
