উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভিতর দিয়ে যাওয়া যশোর রোড অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। নাগেরবাজার মোড়ে যানজট কমাতে ফ্লাইওভারও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বেআইনি পার্কিংয়ের কারণে যানজটের ফাঁস থেকে আজও মুক্তি মেলেনি। যশোর রোডের উপর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে চলছে বেআইনি পার্কিং। উড়ালপুলের নীচে এই অবৈধ পার্কিংয়ের রমরমা নিয়ে পুলিস ও পুরসভার কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার সেখানে বাইক রাখার জন্য গেলে গলু মল্লিক নামে এক যুবক এগিয়ে এলেন। নিজ দায়িত্বে বাইক সাইড করে রেখে দেন। মিনিট দশেক বাদে ফিরতেই হাতে ধরিয়ে দেন ১০ টাকার কুপন। সেখানে কুপন নম্বর, তারিখ ছাড়াও গাড়ির নম্বর, সময়, টাকার অঙ্ক, এমনকী যিনি রসিদ কাটছেন, তাঁর সই পর্যন্ত রয়েছে। মাত্র ১০ মিনিটের জন্য ১০টাকা? গলু বলেন, ‘বাইক এক ঘন্টায় ১০ টাকা। চারচাকা হলে প্রতি ঘন্টায় ২০ টাকা।’ এভাবে তাহলে প্রতিদিন কত টাকা আয় হয়? যুবকের জবাব, ‘এত হিসেব বলতে পারব না। আমাদের তিনজনকে মাসে ন’হাজার করে টাকা দিয়ে রেখেছে। সকাল ৯টায় আসি। যাওয়ার কোনও ঠিক নেই।’ পার্কিংয়ের মালিক কে? উত্তর জানা নেই তাঁর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, এই কারবারের পিছনে ‘প্রভাশালী’ নেতা থাকলেও সামনে রয়েছেন জনৈক দেবব্রত দাস। তিনি ফোনে বেআইনি পার্কিংয়ের কথা স্বীকার করে নেন। বলেন, ‘ওখানে সাধারণ মানুষ গাড়ি রাস্তার উপর রেখে দিত। স্থানীয়রাই সমস্যায় পড়ত। তাই বছর ছয়েক ধরে কিছু ছেলে রেখে গাড়িগুলো যাতে সঠিকভাবে থাকে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ওই ছেলেগুলোর তো কিছু খরচ লাগে। তাই স্বেচ্ছায় যে যা দেয়, তা নেওয়া হয়।’ দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অভিজিৎ ওরফে বাপি মিত্র বলেন, ‘স্থানীয় ছেলেরা রাস্তা চালু রাখতে গাড়িগুলি ঠিক করে রাখে। আমরাও চাই, এটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আসুক।’ তবে এই একটি জায়গাই নয়! নাগেরবাজার ও দমদম থানা এলাকায় যশোর রোডের দু’দিকেই কয়েক কিলোমিটার অংশে অবৈধ পার্কিংয়ের রমরমা। প্রাইভেট গাড়ি, ম্যটাডর, লরি ও বাস দিনভর দাঁড়িয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আর কবে ঘুম ভাঙবে পুলিস ও প্রশাসনের?