উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
ছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি যে সমস্ত সৃজনশীল কাজ করেন, সেগুলি এই মেলায় তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ মানুষ সেখান থেকে জিনিসপত্র কিনছেন। শুধু হস্তশিল্প বা সৃজনশীল কাজই নয়, ছাত্রীরা যাঁরা রান্না করতে ভালোবাসেন তাঁরা অনেকেই খাবারের স্টল দিয়েছেন।
গার্লস কলেজের ছাত্রী দীপান্বিতা ঘোষ বলেন, আমরা এখানে পাপড়ি চাট ও ঘুগনি বিক্রি করছি। আমাদের স্টলের নাম দিয়েছি টিফিন বেলা। প্রত্যেকেই স্কুল জীবনে টিফিন বেলায় যে সমস্ত খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হতাম সেগুলি আমরা বিক্রি করছি। এখানে এসে খাবার চেখে দেখার পাশাপাশি প্রত্যেকেই সেই ছোটবেলার স্কুল লাইফের নস্টালজিয়া উপভোগ করবেন।
গার্লস কলেজের অধ্যাপক মধু মিত্র বলেন, শিক্ষার্থীরা এখানে শিখতে শিখতে রোজগার করছে।
লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে যে প্রতিভা আছে, সেই প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে যাতে তারা যাতে উপার্জন করতে পারে সেই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়ার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। এবছর দু’টি এরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী শীতেও হয়তো আরও একটি এমন ‘উদ্ভাবনী’ করব। বহরমপুরে বিভিন্ন স্কুল কলেজ এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমরা ছাত্রীদের এটাই দেখাতে চাইছি যে, তোমাদের মধ্যে যে সৃজনশীলতা আছে সেটা যদি তোমরা ব্যবহার করতে পার, সেটাও একটা স্বনির্ভরতার জায়গা তৈরি করে। এর মাধ্যমে নিজেদের পায়ে তোমরা দাঁড়াতে পারবে।
কাশীশ্বরী স্কুলের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বলেন, এখানে অংশ নিতে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগছে। আমাদের মতো অনেক ছাত্রী এখানে অংশ নিয়েছে। সবাই যে যার হাতের কাজ তুলে ধরছে। আমরাও যে কিছু পারি এবং মানুষের সামনে তা তুলে ধরার জন্য এমন প্লাটফর্ম পাচ্ছি তার জন্য আয়োজকদের আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলেই যে আমাদের হাতে তৈরি জিনিস কিনছেন, তা নয়। কিন্তু দেখে যে অনেকে প্রশংসা করছেন, সেটা আমাদের খুব ভালো লাগছে। আগামীতে আরও ভালো ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ পাচ্ছি। প্রিয়াঙ্কার মতো অংশগ্রহণকারী অনেক ছাত্রী উৎসাহিত। তাঁর জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে উপার্জনের একতিুন দিশা দেখাচ্ছে এই মেলা।
হস্তশিল্প মেলায় গয়না পরছেন এক তরুণী। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র