আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একমাস আগে একটি সংস্থা কম দামে আসবাবপত্র বিক্রি করার জন্য রঘুনাথপুরে আসে। সেখান থেকে প্রায় ১০ থেকে ৪৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। টাকা জমা দেওয়ার ১২ দিনের মধ্যে অর্ডার দেওয়া জিনিস পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পুরসভা থেকে নেওয়া ট্রেড লাইসেন্স দেখান তাঁরা। পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য প্রাক্তন পুরসভার চেয়ারম্যান মদন বরাটের লজের একটি ঘর ভাড়া নেন। শুরুতে কয়েকজনকে মাল ডেলিভারিও দেওয়া হয়। সব কিছু দেখে শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার মানুষের বিশ্বাস গড়ে উঠে। তাই আসবাবপত্র নেওয়ার জন্য ২০ থেকে ৫০ হাজার এমনকী এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করেন অনেকে। এদিন বিক্ষোভে শামিল আদ্রা এলাকার মদন কর্মকার বলেন, আসবাবপত্র নেওয়ার জন্য এক লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। আর দু’ দিন পর ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই পাততাড়ি গুটিয়ে হাওয়া। একেই অভিযোগ করেন উমা কুম্ভকার, নন্দদুলাল চক্রবর্তী। রঘুনাথপুর শহরে বিজেপি কাউন্সিলার দীনেশ শুক্লা বলেন, রঘুনাথপুর শহরের মানুষ প্রতারিত হওয়ার জন্য পুরসভার বর্তমান এবং প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান দায়ী। অন্য রাজ্য থেকে ব্যবসা করতে এসেছে অথচ তাঁদের সঠিক কাগজপত্র রয়েছে কিনা তা প্রাক্তন চেয়ারম্যান মদন বরাট কেন দেখেননি। অন্যদিকে ব্যবসার জন্য সমস্ত কাগজপত্র ঠিক রয়েছে কিনা তা বর্তমান পুরসভার চেয়ারম্যানই বা কেন দেখেননি। আসলে ওই সংস্থা মোটা টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেছিল। আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।
পুরসভার চেয়ারম্যান তরণী বাউরি বলেন, ট্রেড লাইসেন্সের জন্য যে কেউ অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। যদি সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকে তাহলে লাইসেন্স দিতে অসুবিধা থাকে না। ওই সংস্থার তরফ থেকে সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। তাই আমরা ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছিলাম।
রঘুনাথপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের ট্রেড লাইসেন্স পেতে কত খড়কুটো পোড়াতে হয়। অথচ বাইরে থেকে একজন ব্যবসা করতে এল, সে আবেদনের পরেই কি করে এত সহজে ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে গেল? যদিও মদনবাবু বলেন, ওই সংস্থার তরফ থেকে সমস্ত কাগজপত্র, আধার কার্ড দেওয়া হয়েছিল। তাই আমি ওদের ভাড়া দিয়েছিলাম। পুলিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।