শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এদিকে, দল সাসপেন্ড করার পর ইস্তফা না দিয়েই কার্যত ‘বেপাত্তা’ চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। সূত্রের খবর, তিনি কলকাতায় রয়েছেন। এদিন ফোনে স্বপনবাবু বলেন, বাইরে আছি। শনিবার ফিরব। সোমবার চেয়ারম্যান পদে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেব।
এই পরিস্থিতিতে পুরসভাকে সচল রাখতে শুক্রবার জরুরি বোর্ড মিটিং তলব করেন ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ী। সেখানে স্বপন সাহা ও আর এক কাউন্সিলার ছাড়া বাকিরা ছিলেন। বৈঠক শেষে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের দু’মাসের বেতন বকেয়া। এখন একমাসের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুজোর বোনাস দেওয়া হবে। বকেয়া বাকি একমাসের বেতন কালীপুজোর আগে মেটানোর চেষ্টা করা হবে। পাওনাদারদের চাপ নিয়ে তাঁর দাবি, এটা তো আজকের বিষয় নয়। অনেকদিন ধরেই ঠিকাদাররা বিল পাবেন। তাঁরা চাইতে আসছেন। তাঁদের কিছুদিন ধৈর্য ধরতে বলা হচ্ছে।
তবে পুরসভার যা তহবিলের অবস্থা, তাতে পুজোর আগে আদৌও শহরের রাস্তাঘাট, পথবাতি মেরামত হবে কি না, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে সংশয়।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তহবিলের অবস্থা খারাপ। অনেক দোকানভাড়া বাকি। প্রচুর টাকার ট্যাক্সও বকেয়া। সেসব আদায়ে নোটিস দেওয়া হয়েছে। ফোনও করছি।
মাল পুরসভায় ১৬৩ জন অস্থায়ী কর্মী। তাঁদের বেতন বাবদ প্রতিমাসে লাগে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পুরো টাকা মেটাতে হয় পুরসভাকে। এছাড়া স্থায়ী কর্মী ৫০ জন। তাঁদের বেতন বাবদ মাসে লাগে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ৮৫ শতাংশ টাকা রাজ্য দেয়। বাকিটা জোগাড় করতে হয় পুরসভাকে। স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের বোনাস বাবদ লাগবে ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বৈঠকের পর এক কাউন্সিলার বলেন, পরিস্থিতি যা ঠিকাদারদের বকেয়া বিল মেটাতে গেলে অস্থায়ী কর্মীদের মাইনে ও পুজোর বোনাস হবে না। আর উল্টোটা দিতে গেলে ঠিকাদাররা আইনের রাস্তায় যেতে পারেন।