শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
ক্যামাক স্ট্রিট সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীচরণের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই একাধিক নালিশ জমা পড়ছিল। অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন লোকের কাছে নিজেকে অভিষেক-ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে মোটা টাকা আদায় করেছেন। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন সাধারণ নাগরিক থেকে একাধিক ব্যবসায়ী, তেমনই আছেন সরকারি অফিসারও। অয়ন অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন, সম্প্রতি ক্যামাক স্ট্রিটে খবর এসেছে, এভাবে কালীচরণ কোটি কোটি টাকা তুলেছেন। পুলিসের কাছে অভিযোগে বলা হয়েছে, যেহেতু কালীচরণ নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কাছের লোক’ বলে দাবি করছেন, তাই তাঁকে প্রভাবশালী বলেই মনে করতেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। এমনকী তাঁকে সাধারণ মানুষ নিজের সমস্যার কথাও জানাতেন। সেই সুযোগে নানা সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে কালীচরণ মোটা টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে অনেকে টাকা ফেরত চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ। তাঁরাই ক্যামাক স্ট্রিটে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে অভিষেকের অফিস সূত্রে খবর।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শাসক দলের অন্দরে শোরগোল শুরু হয়েছে। আসরে নেমে পড়েছে বিরোধী বিজেপিও। মেয়রকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানতাম না। সংবাদমাধ্যম থেকেই জানতে পেরেছি। কিন্তু এমন কোনও অভিযোগ থাকলে, তা আগে আমাকেই তো বলা যেত। আমি বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করতাম। এমন অভিযোগর কথা আমি আগে কোনওদিন শুনিনি। তবে অভিযোগ যদি ভিত্তিহীন হয়, তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে (কালীচরণ) কীভাবে সরাব?
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। যাঁদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে বক্তব্য নেওয়া হবে। কোথায়, কীভাবে তাঁদের সঙ্গে কালীচরণের যোগাযাগ, কীসের ভিত্তিতে তাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের কী ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সবটাই লিপিবদ্ধ করা হবে। একই সঙ্গে কালীচরণের মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস পরীক্ষা করে দেখা হবে। কারণ পুলিস দেখতে চাইছে, অভিযোগকারীরা আদৌ কোনও দিন কালীচরণের সঙ্গে ফোনের কথা বলেছেন কি না। মেসেজে কোনও কথোপকথন হয়ে থাকলে, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তারপর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।