শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
গত ১৮সেপ্টেম্বর পাঁশকুড়ায় চার জায়গায় কংসাবতী নদীবাঁধ ভেঙেছিল। তারমধ্যে পুরসভার গড়পুরুষোত্তমপুরে ভাঙা নদীবাঁধ দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই জল ঢুকছে। সেই জলে পুরসভার ১৪ ও ১৫নম্বর ওয়ার্ড প্লাবিত। শুক্রবার ওই এলাকা থেকে কোমর সমান জল পেরিয়ে অনেক দুর্গত ত্রাণ ও ত্রিপলের আশায় পুরসভা অফিসে আসেন। ১৫নম্বর ওয়ার্ডের বহু দুর্গত কংসাবতী নদীবাঁধে ত্রিপল খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই আত্মীয় বাড়িতে রওনা দিয়েছেন। আবার, বাড়ির ছাদে ত্রিপল খাটিয়ে দুর্গতদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার এনডিআরএফ স্পিডবোট ১৪ ও ১৫নম্বর ওয়ার্ডে উদ্ধার কাজ চালায়। পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন নন্দকুমার মিশ্র স্পিডবোটে এলাকায় দুর্গতদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করেন।
গোবিন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুরে ভেঙে যাওয়া কংসাবতী বাঁধ মেরামতে দু’শোর বেশি শ্রমিক লাগানো হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধের দু’দিকে বিরাট এলাকাজুড়ে ত্রিপল খাটিয়ে ক্যাম্প করা হয়েছে। গোলাপ ফুলের জমি থেকে জেসিবি দিয়ে মাটি তুলে বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। বাঁধ মেরামতের কাজে যুক্ত উত্তর ২৪পরগনার হাবরা থানার কালীনগর গ্রামের বিশ্বজিৎ পাহাড় বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ হুড়মুড় করে বাঁধের অংশ ভেঙে প্রবল গতিতে নিউ কংসাবতীর জল ঢোকা শুরু হয়। নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কাজ করা যাচ্ছে না।
পাঁশকুড়া ব্লকের প্লাবিত মৌজা থেকে বন্যার জল দ্রুত নামানোর জন্য গোটপোতায় ঢালাই বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি মঙ্গলদ্বারিতে প্রায় ৩০বছর ধরে কাজ না করা একটি স্লুইস গেটকে সচল করে জল নিকাশির ব্যবস্থা করা হয়। তাতেই বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হয়। মানুর গ্রামে নদীবাঁধ দিয়ে ঢোকা কংসাবতীর জল ওই দুই জায়গা দিয়ে দ্রুত ক্ষীরাই নদীতে পড়ছে। তাতে গোবিন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েত খানিকটা রেহাই পাবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
সোয়াদিঘি, পায়রাটুঙ্গি, শঙ্করআড়া প্রভৃতি খাল সংস্কার না হওয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে। বৃষ্টির জমা জলে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। শহিদ মাতঙ্গিনী বিডিও অফিস পুরোপুরি জলের তলায়। বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ঘরে হাঁটুসমান জল। হাঁটুজল পেরিয়ে বিডিও অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এদিন বাড় শান্তিপুর গ্রাম থেকে একটা ত্রিপলের খোঁজে ষাটোর্ধ্ব উত্তম দত্ত বিডিও অফিসে এসেছিলেন। তিনি বলেন, বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। থাকতে পারছি না। তাই একটা ত্রিপলের খোঁজে বিডিও অফিসে এসেছি। এখানেও একই অবস্থা। ফি-বছর বর্ষায় এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি।