কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
দুই অভিন্নহৃদয় বন্ধুর এই সাঙ্গীতিক আয়োজনের শুরুটা কেমন ছিল? সৌম্যজিতের কথায়, ‘কলেজে থাকাকালীন আমরা একসঙ্গে ইউরোপ গিয়েছিলাম। সেই সময় ওখানকার বহু শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। তখন থেকেই ভেবেছিলাম, কলকাতায় যদি এমন কিছু করা যায়। কোনওরকম দায়বদ্ধতা না রেখে বিশ্ব সঙ্গীতকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। নিছক সৃষ্টির আনন্দে। সেই ভাবনা থেকেই এই অনুষ্ঠানের সূচনা।’
আজকের বিশ্বায়নের যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। পৃথিবীর এক প্রান্তে বসেই সঙ্গীতের নতুন নতুন সৃষ্টি শোনা সম্ভব। পরিবর্তনের এই দ্রুত দৌড়ে কি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত কোথাও পিছিয়ে পড়ছে? সৌরেন্দ্রর দাবি, ‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটা স্বতন্ত্র জায়গা রয়েছে। গোটা বিশ্বে এর কদর রয়েছে। শুধু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশনের মাধ্যম বদলে গিয়েছে।’ কথা প্রসঙ্গে পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও উস্তাদ আলি আকবর খানের প্রসঙ্গ উঠল। সেতার-সরোদের সুরে গোটা বিশ্বকে জয় করেছেন মাইহার ঘরানার এই দুই শিল্পী। সৌম্যজিৎ বলছিলেন, ‘মন্দিরের সঙ্গীত থেকে ধ্রুপদ। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বারবার নিজেকে বদলেছে। তিন হাজার বছরের এই যাত্রা তাকে সবসময় সমৃদ্ধ করেছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত তার স্বমহিমায় অক্ষয় হয়ে থাকবে।’
সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের এই বার্ষিক অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ মঞ্চসজ্জা। ভাবনার সঙ্গে তা যেন কোথাও মিলেমিশে এক হয়ে যায়। সৌম্যজিৎ দাবি করলেন, ‘এক্ষেত্রে আমাদের অনুপ্রেরণা মাইকেল জ্যাকসন। প্রতি বছর নিজেদের মতো করে আমরা মঞ্চ সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করি।’ সমগ্র আয়োজনের কেন্দ্রে রয়েছেন শ্রোতারা। তা মাথায় রেখে সৌম্যজিৎ বললেন, ‘শ্রোতা ছাড়া গান অসম্পূর্ণ। তাই সামাজিক দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রেখে নতুন সৃষ্টিকে গ্রহণ করার ক্ষমতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।’