কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
ঝাড়গ্ৰামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, জেলায় ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়েনি। টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশকিছু মাটির বাড়ি ভেঙেছে। কিছু জায়গা বিদ্যুৎ সংযোগহীন হয়ে আছে। গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঝড়ের দাপট না দেখা গেলেও শুক্রবার টানা বৃষ্টিতে জেলার স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়। ঘরবন্দি হয়ে পড়েন মানুষজন। শহর ও জেলার বাজার এলাকায় বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটেও বেশি যানবাহনের দেখা মেলেনি। ঝড়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি না ঘটায় জেলাবাসী অবশ্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
নয়গ্ৰাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেবা বেরা বলেন, ব্লকের প্রতিটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্যদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। ঝড় হয়নি, তবে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গোপীবল্লভবপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত ছিলাম। এলাকায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দু’-একটা গাছও পড়ছে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
জেলার কৃষি আধিকারিক অজয় শর্মা বলেন, জেলায় ঝড়ের প্রভাব দেখা যায়নি। বৃষ্টিপাত হওয়ায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি থামলে ব্লকস্তরের কর্মীরা এলাকা পরিদর্শন করবেন। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য তারপরেই পাওয়া যাবে।
জেলার বিদ্যুৎ দপ্তরের ডিভিশনাল ম্যানেজার মৌমিতা মাঝি বলেন, ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়া বা বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ার খবর আমাদের কাছে নেই। তবে লাগাতার বৃষ্টির জেরে কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ যাতে দেওয়া যায় তার কাজ চলছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত ছিলাম। শহরের ভিতর দু’-একটা জায়গায় গাছ পড়েছিল। সেগুলি কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে কোনও ওয়ার্ডে জল যাতে না জমে যায় তা দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাটির বাড়িতে বসবাসকারী মানুষজনকে ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ পুরোপুরি না কাটা পর্যন্ত আমাদের নজরদারি চলবে।