কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
শুক্রবার নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য এত কিছু করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও আবর্জনার সমস্যা একই থেকে যাচ্ছে। কনজারভেন্সির ক্ষেত্রে ফিল্ডে নেমে গাইড করতে হবে। রাস্তাঘাট, ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে।’ আবর্জনা ও বেহাল নিকাশির কারণে গত কয়েক মাস ধরেই হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেই তার প্রমাণ মেলে। এদিনের বৃষ্টিতে ড্রেনেজ ক্যানাল রোড, পঞ্চাননতলা রোড, বেলিলিয়াস রোড, বেনারস রোড, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলের তলায় চলে যায়। বিশেষ করে ইছাপুর, টিকিয়াপাড়া, বেলগাছিয়া, রামরাজাতলার মতো এলাকাগুলিতে জমা জলের কারণে কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে জনজীবন। বৃষ্টির কারণে এদিন শহরের বেশিরভাগ বাজার ছিল ক্রেতাশূন্য।
অন্যদিকে, দক্ষিণ হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন বি গার্ডেন লেনের সরকারি আবাসনগুলিতে মিটার বক্সে ভিতরে জল ঢুকে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘একেই বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। তার উপর জোয়ারের কারণে একতলা বাড়িগুলিতে জল ঢুকে পড়েছে। ঘরে থাকাই এখন দায় হয়ে উঠেছে।’
হাওড়া পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৌতমবাবু দীর্ঘদিন ধরেই অস্থায়ী সাফাই কর্মীর কাজ করতেন। এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় তিনি স্থানীয় তিব্বতি বাবা মঠের কাছে রাস্তার জমা জলে পড়ে যান। এরপর আর উঠতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ওই অবস্থায় তিনি প্রায় ৪০ মিনিট পড়েছিলেন। অথচ কেউই এগিয়ে আসেননি। পরে খবর পেয়ে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ওই এলাকায় এমনিতেই জল জমে। জমা জলের জন্যই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’ হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩২ হর্স পাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি বড় পাম্প সহ শহরে মোট ৭০টি পাম্প চালানো হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কোথাও গাছের ডাল ভেঙে পড়া বা বাড়ি ধসে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। বৃষ্টি কমলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জল নেমে যাবে বলে আশাবাদী পুরসভা।