Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। তবে, সিপিএমের সেই নীতিহীন, সুবিধাবাদী জোটকে রাজ্যবাসীই প্রত্যাখ্যান করে শূন্যে নামিয়ে দিয়েছিল। এবার সিপিআই(এমএল)-এর হাত ধরেছে। তাতেই স্পষ্ট হল, গদিতে বসার ছটফটানি বিন্দুমাত্র কমেনি, উল্টে আরও তীব্র হয়েছে। 
অভয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলায় তৈরি হয়েছিল গণআন্দোলন। তা থেকে বিজেপি যাতে ফায়দা তুলতে না পারে, তারজন্য গোড়া থেকেই সতর্ক ছিল চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা গেরুয়া শিবিরকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দেননি। কিন্তু বামেদের প্রতি তাঁদের দুর্বলতাও চাপা থাকেনি। আর জি কর কাণ্ডে সিপিএম বুঝিয়ে দিয়েছে, ভিত্তিহীন বিষয়কে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলায় বিজেপির চেয়েও তারা অনেক এগিয়ে। 
২০২১ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর যে হতাশা বাম শিবিরকে গ্রাস করেছিল আর জি কর কাণ্ড সিপিএমকে তা থেকে কিছুটা বের করে এনেছে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে প্রশাসনকে ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা বঙ্গ বিজেপির চেয়ে সিপিএমের যে বেশি, সেটাও প্রমাণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন হতে চলেছে। 
ফলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি হল কি না, তা যাচাইয়ের একটা সুযোগ বামেদের সামনে এসেছিল। কিন্তু সিপিএম চ্যালেঞ্জটা নিল না। উল্টে সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলল। 
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভোট কমে ২৩ শতাংশ, আর বামেদের বেড়ে ১৩.২ শতাংশ হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আবার বামেরা ছিল বিজেপির থেকে অনেকটা এগিয়ে। ভোট বৃদ্ধিতে খুশি সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী দলীয় মুখপত্রে লিখেছিলেন, ‘দম ধরে রাখতে হবে, খেলা ঘুরছে।’ খেলা ঘোরানোর একটাই ফর্মুলা, রামে যাওয়া ভোট বামে ফেরানো। তারজন্য দরকার ছিল বিজেপি বিরোধী আক্রমণ তীব্র করা। কিন্তু সিপিএম সে রাস্তায় না হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার আক্রমণ করে বিজেপিরই সুবিধে করে দিয়েছে।
বঙ্গ বিজেপি বুঝেছে, সিপিএমের ভোট আরও টানতে না পারলে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া অসম্ভব। আর রামের ভোট বামে ফিরলে তো সর্বনাশ। তাই আর জি কর ইস্যুতে বামেদের মিছিলে ভিড় বাড়তেই সিপিএমকে আক্রমণ তীব্র করেছে বিজেপি। সিপিএমের হিন্দু ভোটকেই তারা টার্গেট করেছে। 
২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বামফ্রন্টকে উৎখাত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কংগ্রেসের সঙ্গেই ২০১৬ সালে জোট করেছিল সিপিএম। সেটা বামপন্থায় বিশ্বাসী শিক্ষিত লোকজন মানতে পারেননি। পরবর্তীতে কংগ্রেস এবং সিপিএম যৌথভাবে কর্মসূচি নেওয়ায় জোটের ভিত মজবুত হতে থাকে। উভয় দলের কর্মীদের মধ্যে বোঝাপড়াও তৈরি হয়। ঠিক তখনই ফাটল ধরল বাম-কংগ্রেস জোটে। উপ নির্বাচনে কংগ্রেসকে ছেড়ে নকশালদের হাত ধরল সিপিএম। তাতে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে জন্ম হল এক নতুন সমীকরণের।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শুভঙ্কর সরকারকে প্রদেশ সভাপতি করাতেই কি সিপিএম বুঝে গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসকে তারা আর পাশে পাবে না! তাই কি তারা ‘ঠেকনা’ পাওয়ার আশায় নৈহাটির আসনটি নকশালদের ছেড়ে দিল? নাকি এর পিছনে আছে অন্য অঙ্ক?
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সিপিএম নানাভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারজন্য নীতি বিসর্জন দিয়ে কখনও কংগ্রেসের, কখনও আইএসএফের হাত ধরতে কুণ্ঠা করেনি। তবে, তাতে কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু আর জি কর ইস্যুতে এই প্রথম তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছুটা হলেও বেগ দিতে সক্ষম হল। আর সেটা হয়েছে অতিবামেরা তাদের পাশে থাকায়। অতিবামেরা পাশে ছিল বলেই উৎসবের মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ও ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করার আগুনে ফুঁ দেওয়ার বল পেয়েছে। 
ইতিহাস বলছে, সিপিএম যখনই কোণঠাসা হয়েছে, তখনই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যাকে প্রয়োজন মনে করেছে, তার সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে। নীতিনৈতিকতার ধার ধারেনি। ১৯৯৮ সালে ‘গণরোষে’র জেরে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতারা গ্রামছাড়া হয়েছিলেন। পুলিস অনেক চেষ্টা করেও গ্রামের দখল ফিরিয়ে দিতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ২০০০ সালে মাওবাদী ও পুলিসের যৌথ প্রচেষ্টায় গ্রামের দখল নিয়েছিল সিপিএম। শর্ত ছিল, গড়বেতার সন্ধিপুর অঞ্চলে নকশালদের সংগঠন করতে দেবে সিপিএম। যদিও সেই শর্ত পরে সিপিএম মানেনি। তারজন্য উভয়ের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। পরবর্তীতে জঙ্গলমহল অশান্ত হওয়ার কারণ নাকি সেটাই বলে অনেকে মনে করেন।
এই উপ নির্বাচনের ফলের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে না। তবে, এই উপ নির্বাচন ছাব্বিশে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের জল্পনা উস্কে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছে, সিপিএমের হাত ছেড়ে দেওয়ায় ছাব্বিশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে আর বাধা রইল না। তবে, এরপরেও 
সিপিএম ফের কংগ্রেসের হাত ধরে ছাব্বিশে শূন্যের গেরো কাটাতে চাইলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতার অবশিষ্টটুকুও থাকবে না।
তৃণমূল এ রাজ্যের ক্ষমতায় টানা প্রায় ১৩ বছর রয়েছে। কেন্দ্রের ক্ষমতায় বিজেপি রয়েছে প্রায় সাড়ে দশ বছর। ক্ষমতায় থাকলে নানা কারণে শাসক দলের বিরুদ্ধেই অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর কাজ করে। এ রাজ্যে বহু মানুষেরই উভয় দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা শাসক হিসেবে কোনও দলকেই হয়তো চান না। কিন্তু তাঁদের সামনে বিকল্প নেই। তাঁরা মনে করেন, বামেদের ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট করা। তাই বিজেপির উপর যাঁরা বিরক্ত তাঁরা বাধ্য হয়ে তৃণমূলকে ভোট দেন। আবার তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধরা বিজেপিকে ভোট দিতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে সিপিআই(এমএল) কি আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে পারবে? পারলে বাংলার রাজনীতির চাকা হয়তো অন্যভাবে ঘুরবে।
সিপিএমের মতো সিপিআই(এমএল)-এর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে ছুঁতমার্গ নেই। সিপিআই(এমএল)-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য নানা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএম সবসময় তৃণমূলকে বাইরে রাখার পক্ষে। কিন্তু দীপঙ্করবাবু বারবার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আক্রমণের অভিমুখ ঘোরানো হোক ‘বড় বিপদ’ বিজেপির দিকে। কিন্তু সিপিএম সব সময় তাঁর এই লাইনের বিরোধিতা করেছে। 
সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ‘কেউ যদি বলেন, বিজেপিকে পরাস্ত করতে গেলে তৃণমূল সহ সকলকে নিয়ে চলতে হবে, সেটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’ এ হেন সিপিএম উপ নির্বাচনে আসন সমঝোতা করল সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা তো দূরের কথা, সোজা হয়ে দাঁড়াতে গেলেও তাদের ‘ঠেকনা’ লাগে। কংগ্রেস সরে যাওয়ায় সিপিআই(এমএল)কে ‘ঠেকনা’ বানাতে চাইছে সিপিএম।
তবে, নকশাল শব্দটি বাংলার আম জনতা খুব একটা পছন্দ করে না। কারণ এখনও অনেকে মনে করেন, নকশাল মানেই খুনোখুনি। বিশৃঙ্খলা, হটকারিতা... আরও অনেক কিছু। তবে, তা সবটাই শোনা ও বইয়ে পড়া। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এই প্রজন্মের নেই। ফলে নাক সিঁটকানো থাকলেও সক্রিয় বিরোধিতার জায়গাটা তৈরি হয়নি। উল্টে অতিবামের প্রতি যুবসমাজের একটা আলাদা আকর্ষণ আছে। তার উপর রাজ্যপাট না চালানোয় ক্ষমতায় থাকার ‘কাদা’ তাদের গায়ে নেই। সেটা জনসমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে সিপিআই(এমএল)-এর একটা বাড়তি সুবিধা।
সিপিএম নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই বাংলায় বিজেপি আজ প্রধান বিরোধী দল। তা সত্ত্বেও রাজ্যের বহু শিক্ষিত ও গরিব মানুষ বামপন্থায় বিশ্বাসী। কিন্তু তাঁরা দিশেহারা। নেতৃত্ব প্রদানে যোগ্যতার প্রমাণ দিলে তাঁদের সমর্থন যাবে সেদিকেই। তাতে বদলাতে পারে পরিস্থিতি। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে সিপিআই(এমএল)। বাংলাতেও কি তারা সেই লক্ষ্যেই এগতে চাইছে? উদ্দেশ্য সেটা হলে বলতেই হবে, মমতা ব঩ন্দ্যোপাধ্যায়কে টাইট দিতে গিয়ে সিপিএম নিজেদের সর্বনাশের রাস্তাটা নিজেরাই তৈরি করে দিল।
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
একনজরে
সেমেস্টার ব্রেক শুধুই পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু শিক্ষকদের অন-ডিউটি থাকতেই হবে। এই সময় যদি কোনও শিক্ষককে ছুটি নিতে হয়, তাহলে যথাযথভাবে লিভ অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। তারপর ছুটি মিললে সেইমতো ‘স্টেশন লিভ’ করা যাবে। ...

সালিশি সভায় যুবককে মারধরে ‘ইন্ধন’ জুগিয়েছিলেন তাঁরই স্ত্রী। অভিযোগ, সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও প্রতিবাদ করেননি। উল্টো সুর মিলিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে। সালিশি সভায় মারধরের ‘অপমানে’ একদিন পরেই আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। ...

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলা ৪২ জনকে হত্যার মামলা খারিজ করে দিল ঢাকার একটি আদালত। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ...

এসে গেল বাজাজ অটোর নতুন পালসার বাইক। পালসার এন সিরিজের নতুন সংযোজন ১২৫ সিসির এন১২৫। ট্রেন্ডি গ্রাফিক্স, স্টাইলিশ এই বাইকের দাম শুরু হচ্ছে ৯৪ হাজার টাকা থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৮৬৩:  ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ব্রিটেনের ফুটবল সমিতি লণ্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ফুটবল খেলার প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়, তাতে আধুনিক ফুটবলের জন্ম ঘোষিত হয়। পরে এই দিনকেই আধুনিক ফুটবলের জন্মদিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়
 ১৮৭৩: শের-ই-বাংলা ফজলুল হকের জন্ম
১৮৭৯: রুশ বিপ্লবী নেতা লিও ট্রটস্কির জন্ম
১৮৮১: দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্ম
১৮৯০: ভাষাচার্য তথা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ভাষাবিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ হীরালাল সেনের মৃত্যু
১৯২৭: গোয়েন্দা কাহিনীকার শ্রীস্বপন কুমার, জ্যোতিষী শ্রীভৃগু ও ডাক্তার এস এন পাণ্ডে নামে পরিচিত ডাক্তার সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডের জন্ম
১৯৩৪: মহাত্মা গান্ধীর উদ্যোগে গ্রামীণ শিল্প সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৩৭: সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের জন্ম
১৯৪৭: জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে সায় দিলেন সেখানকার মহারাজারা
১৯৫০: মাদার টেরিজা ভারতের কলকাতা শহরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬৪: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় শেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল এরিক এডগার কুকের
১৯৭৪: অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৯ টাকা ১১০.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৫ টাকা ৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দিনপঞ্জি------------------------------------------------------------ -                                           

দৃকসিদ্ধ: ৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। দশমী ৫৯/১৫ শেষরাত্রি ৫/২৪। অশ্লেষা নক্ষত্র ১০/১০ দিবা ৯/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৪১/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৫৯/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৫ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। 
৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। নবমী দিবা ৬/৩৮। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ১/৩৫। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/০ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৩ গতে ৩/১৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/৭ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/১১ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। 
২২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির শাহদারা জেলার একটি এটিএম-এ আগুন, ঘটনাস্থলে হাজির দমকল

10:34:00 PM

দোদরা-কাওয়ারে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু

10:26:00 PM

চিত্রকূটে এলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব

10:05:00 PM

দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালকেই জেতাবে, বিজেপি নার্ভাস কারণ তারা জানে তারা দিল্লিতে জিততে পারবে না, বললেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং

09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৪-০ গোলে হারাল হায়দরাবাদ

09:29:00 PM

আইএসএল: মহামেডান ০-হায়দরাবাদ ৪ (৮১ মিনিট)

09:12:00 PM