Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ফলে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিসে’র স্লোগানে গলা মেলানো অনেক সাধারণ মানুষও মনে করছে, অভয়ার খুন এবং ধর্ষণ পাশবিক শক্তি ও ব্যক্তি লালসার নির্মম পরিণতি। কোনও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র নেই। স্রেফ অভয়ার জাস্টিসই আন্দোলনের লক্ষ্য হলে এতদিনে সব স্বাভাবিক হয়ে যেত। পরিসমাপ্তি ঘটত অনশন আন্দোলনের। কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ এই আন্দোলনের মুখ জুনিয়র ডাক্তাররা হলেও আড়কাঠিটা নাড়ছেন রাজনীতির কারবারিরা। আর এখন এটা অনুমান নয়, প্রমাণিত সত্য।
অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে যখন আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন তা ছিল একেবারেই অরাজনৈতিক। দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে রাজ্যের মানুষ এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছিল। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছিল। তাই চিকিৎসকদের আন্দোলন হয়ে উঠেছিল গণআন্দোলন। সেই কারণেই বেশিরভাগ জুনিয়র ডাক্তার এই আন্দোলনকে ‘অরাজনৈতিক’ রাখার পক্ষে। তাঁরা প্রাণপণে রাজনৈতিক ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলার চেষ্টা চালিয়েছেন। তার প্রমাণও মিলেছে। সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেপ্তার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ‘পাশে আছি’ বার্তা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনেছিলেন ‘গোব্যাক’ স্লোগান। একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলেরও। 
জুনিয়র ডাক্তাররা বিজেপি নেতৃত্বকে বারবার প্রত্যাখ্যান করায় আম জনতার চোখেও এই আন্দোলন ছিল ‘অরাজনৈতিক’। ফলে সমর্থন বেড়েছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু তাল কাটে অপরাধীর শাস্তির চেয়েও পুলিস ও স্বাস্থ্য কর্তাদের সরানোর দাবি উচ্চকিতে উচ্চারিত হতেই। তখন অনেকে বলেছিলেন, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। তবুও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পাঁচ দফার মধ্যে তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে অধিকাংশ চিকিৎসক সন্তুষ্ট হয়ে কাজে যোগ দিলেও খুশি হননি রাজনীতির কারবারিরা। মূলত তাঁদের উস্কানিতেই পুজোর ভরা মরশুমে শুরু হয়েছিল আমরণ অনশন। 
ধর্মকে আফিম মনে করা কমিউনিস্টরা পুজোর সময় বইয়ের স্টল দিলেও তারা পুজোয় বিশ্বাসী নয়। তাই ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকলেও সরকারিভাবে পুজো বা উৎসবকে প্রোমোট করেনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে নিজ নিজ ধর্ম এবং উৎসব পালনে উৎসাহিত করেছেন। পুজোর পথে অর্থ যাতে অন্তরায় না হয়, তারজন্য অনুদান দিয়েছেন। কার্নিভালের আয়োজন করে দুর্গোৎসবকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সামনে রেখে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোকে ঘেঁটে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিল সিপিএম। 
তবে, এসব করে সিপিএমের কতটা লাভ হল, সেটা সময় বলবে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে সিপিএমের অতি সক্রিয়তায় ঝুলি থেকে বেড়ালটি বেরিয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে থেকেই সিপিএম এই আন্দোলনে অক্সিজেন জোগাচ্ছিল। কিন্তু বিজেপির মতো তারা সামনে আসেনি। পুজোর সময় সেলিম সাহেবদের ভুল চালে পর্দার আড়ালটা সরে গিয়েছে। 
উৎসবপ্রিয় বাঙালি পুজোর সময় আন্দোলনে পাশে থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনস্থলে ভিড় কমছিল। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা মানুষকে পাশে থাকার ডাক দি঩তেই সিপিএমের ঘোষণা, দলীয় পতাকা ছাড়াই কমরেডরা থাকবেন ডাক্তারদের পাশে। তাতে আন্দোলনস্থলে কিছুটা প্রাণের সঞ্চার হলেও ‘গণআন্দোলনে’র গায়ে পাকাপাকিভাবে লেগে যায় রাজনীতির রং। 
জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ সিপিএমের সঙ্গে মাখামাখির বিষয়টি মানতে পারেনি। এই নিয়ে তীব্র মতভেদ হয়। সেই ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ ঘটে ডাঃ কিঞ্জল নন্দের ভাষণে। আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল অনশনের মঞ্চে বলেন, ‘একটি কথা খুব দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা ডব্লুবিডিজেএফের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমাদের এই কর্মসূচিকে কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মসূচি বলে প্রচার চালিয়েছে। তাদের এই প্রচেষ্টাকে আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই।’
কিঞ্জলের এই কথার মধ্যে কোনও অন্যায় ছিল না। তিনি কেবল আন্দোলনের ‘অরাজনৈতিক’ ইমেজটা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। কারণ তিনি জানেন, রাজনীতির রং লাগলে তা আর ‘গণআন্দোলন’ থাকে না। তাই তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের ‘স্ট্যান্ড’ স্পষ্ট করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমাদের ভাই-বোনেরা মানসিক দৃঢ়তার সঙ্গে আমরণ অনশনে বসে আছে। সেই অনশনকে কাজে লাগিয়ে যদি কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কথা ভাবতে চায়, তাহলে ডব্লুবিডিজেএফ হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখছে, যে বা যারা এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রঙে রাঙানোর চেষ্টা করছে তাদের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে।’ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টি হল, কিঞ্জল কিন্তু একটিবারের জন্যও সিপিএমের নাম মুখে আনেননি। 
গ্রাম বাংলায় একটা প্রবাদ চালু আছে, ‘পড়ল কথা হাটের মাঝে/ যার কথা তার বুকে বাজে।’ কিঞ্জল নন্দ হুঁশিয়ারি দেওয়া মাত্র সিপিএমের লোকজন রে রে করে মাঠে নেমে পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিঞ্জলবাবুর ভূত, ভবিষ্যৎ নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু হয়ে গেল। নীচে নামানোর জন্য কেউ কেউ তাঁর শ্বশুরকে নিয়েও টানাটানি শুরু করে দিলেন। তবে, তাতে এতদিন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পিছনে যে বাম এবং অতি বামেদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেল। অনেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকানোর ছবি পোস্ট করে বোঝাতে চাইলেন, সিপিএমের জন্যই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এই উচ্চতায় পৌঁছেছে। সিপিএম পাশে না থাকলে নাকি জুনিয়র ডাক্তারদের ফুটেজ জুটত না। আবার কেউ কেউ ডব্লুবিজেডিএফ প্যাডে কিঞ্জলকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বসলেন। কদর্য ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণও চলল। 
কিঞ্জলের কথায় শুধু সিপিএমের ইয়ং ব্রিগেডই চটেনি, দলের প্রাজ্ঞ, প্রবীণরাও রুষ্ট হয়েছিলেন যথেষ্ট। প্রয়াত বিনয় কোঙারের বড় ছেলে সুকান্ত কোঙারও সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিলেন তাঁর ক্ষোভ। তাঁর করা দু’টি পোস্টে মিশেছিল ব্যঙ্গ ও আক্রমণ। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘কোন আন্দোলনে কে অংশগ্রহণ করবে, তা ঠিক করার অধিকার আন্দোলনকারীদের নেই।’ এই পোস্ট করে প্রবীণ সিপিএম নেতা কী বোঝাতে চাইলেন? জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা যতই আপত্তি করুন না কেন, গণআন্দোলনের কৃতিত্বে তাঁরা ভাগ বসাবেনই।
জুনিয়র ডাক্তাররা ‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে কারা থ্রেট সিন্ডিকেট চালাত তার তালিকা আন্দোনলকারীরা জমা দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে রাজ্য সরকার তদন্ত চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রীর কলেজে ঢোকার ও ক্লাস করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অনেকে সাসপেন্ডও হয়েছেন। এই সব সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চাপের মুখে নেওয়া হয়েছে, নাকি অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে, তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। তবে, সেই সব বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখেও একটা প্রশ্ন অনায়াসেই তোলাই যায়, কিঞ্জল কি ‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র শিকার হলেন না?
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কেন রাজনৈতিক দলকে এড়িয়ে চলতে চাইছেন, তার ব্যাখ্যাও কিঞ্জল দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, মূল লক্ষ্য ছিল ন্যায় বিচার। প্রত্যেকটি মানুষ নিজেদের দলীয় রং-কে বাইরে রেখে এক হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন। এরপর আমাদের আন্দোলন জনসাধারণের আন্দোলন হয়ে ওঠে। সেই বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের একটাই রং ছিল...সত্য।  
এই ‘সত্যে’র জোরেই চিকিৎসকদের আন্দোলন ‘গণআন্দোলন’ হয়ে ওঠে। কিন্তু ক্ষীর খাওয়ার লোভে ‘অরাজনৈতিক’ আন্দোলনের গায়ে রাজনীতির রং লাগাতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিপিএম। তাতে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে কিঞ্জল ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার কোনও কথা যদি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সোশ্যাল মিডিয়াতে এতদিন একদল আক্রমণ করেছে, এখন আর এক দল করছে, বাকিরাও বাদ রাখবেন কেন?’ কিঞ্জলের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি গোপন নেই। কারণ সিপিএমের এক সিনিয়র চিকিৎসক তাঁর ক্ষমা চাওয়ার কথা ফলাও করে প্রচার করেছেন। 
‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছিলেন কিঞ্জল। এখন তিনি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন, সিপিএমের ‘থ্রেট’ কী! একথা তিনি প্রকাশ্যে বলতে পারবেন না, কিন্তু মরমে মরমে হয়তো উপলব্ধি করবেন আজীবন।
19th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
একনজরে
ঝড় হয়নি। জেলায় শুধু জোরালো হাওয়া বয়ে গিয়েছে। তাতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার ধান চাষিদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। হাওয়ায় ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ...

যতটা ভাবা হয়েছিল, ততটা হয়নি। ফলে বড় বিপর্যয়ের থেকে রেহাই পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাধারণ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি পেল সাগর থেকে সুন্দরবন। ...

সিম-সুইংয়ে কুপোকাত। আবার স্পিনেও কাঁপুনি! উইলিয়ামসনহীন নিউজিল্যান্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল ভারতের মহাতারকাদের দুর্দশা। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে পেসার উইলিয়াম ও’রৌরকির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল টিম ...

সেমেস্টার ব্রেক শুধুই পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু শিক্ষকদের অন-ডিউটি থাকতেই হবে। এই সময় যদি কোনও শিক্ষককে ছুটি নিতে হয়, তাহলে যথাযথভাবে লিভ অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। তারপর ছুটি মিললে সেইমতো ‘স্টেশন লিভ’ করা যাবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৮৬৩:  ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ব্রিটেনের ফুটবল সমিতি লণ্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ফুটবল খেলার প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়, তাতে আধুনিক ফুটবলের জন্ম ঘোষিত হয়। পরে এই দিনকেই আধুনিক ফুটবলের জন্মদিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়
 ১৮৭৩: শের-ই-বাংলা ফজলুল হকের জন্ম
১৮৭৯: রুশ বিপ্লবী নেতা লিও ট্রটস্কির জন্ম
১৮৮১: দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্ম
১৮৯০: ভাষাচার্য তথা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ভাষাবিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ হীরালাল সেনের মৃত্যু
১৯২৭: গোয়েন্দা কাহিনীকার শ্রীস্বপন কুমার, জ্যোতিষী শ্রীভৃগু ও ডাক্তার এস এন পাণ্ডে নামে পরিচিত ডাক্তার সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডের জন্ম
১৯৩৪: মহাত্মা গান্ধীর উদ্যোগে গ্রামীণ শিল্প সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৩৭: সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের জন্ম
১৯৪৭: জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে সায় দিলেন সেখানকার মহারাজারা
১৯৫০: মাদার টেরিজা ভারতের কলকাতা শহরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬৪: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় শেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল এরিক এডগার কুকের
১৯৭৪: অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৯ টাকা ১১০.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৫ টাকা ৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দিনপঞ্জি------------------------------------------------------------ -                                           

দৃকসিদ্ধ: ৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। দশমী ৫৯/১৫ শেষরাত্রি ৫/২৪। অশ্লেষা নক্ষত্র ১০/১০ দিবা ৯/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৪১/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৫৯/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৫ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। 
৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। নবমী দিবা ৬/৩৮। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ১/৩৫। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/০ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৩ গতে ৩/১৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/৭ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/১১ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। 
২২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির শাহদারা জেলার একটি এটিএম-এ আগুন, ঘটনাস্থলে হাজির দমকল

10:34:00 PM

দোদরা-কাওয়ারে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু

10:26:00 PM

চিত্রকূটে এলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব

10:05:00 PM

দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালকেই জেতাবে, বিজেপি নার্ভাস কারণ তারা জানে তারা দিল্লিতে জিততে পারবে না, বললেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং

09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৪-০ গোলে হারাল হায়দরাবাদ

09:29:00 PM

আইএসএল: মহামেডান ০-হায়দরাবাদ ৪ (৮১ মিনিট)

09:12:00 PM