Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। আমরা মেধাবী। আমরা নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনে একজন নারী আইপিএস অফিসারকে যথেচ্ছভাবে অপমান করেছি দফায় দফায়। কারণ, আমরা নিশ্চিত যে. আইপিএস পরীক্ষায় পাশ করতে মেধা দরকার হয় না। সর্বভারতীয় ইউপিএসসি পরীক্ষায় আইপিএস পদের সংখ্যা ২০০। অর্থাৎ গোটা ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দেবে। উত্তীর্ণ হবে ২০০। আমরা কিন্তু ভাবছি মেধা একমাত্র আমাদের। যে নিম্নবর্গ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করে, তারা মেধাহীন। কতটা জমিতে কতটা সার দিলে সোনার ফসল স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদিত হতে পারে, সেটা যাঁরা জানেন, তাঁরাও মেধাহীন। যাঁরা অসামান্য নৈপুণ্যে মোয়া, নাড়ু, নিমকি, চানাচুর এক চিলতে ঘরের বাইরের অংশে তৈরি করে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে স্বামীর হাতে তুলে দেন দোকানে সাপ্লাইয়ের জন্য অথবা বিক্রির জন্য, তাঁরা মেধাহীন। মফস্‌স঩লের যে মেয়েরা আমাদের ঘরের নারী সদস্যদের ৫ হাজার, ১০ হাজার টাকার শাড়ির ফলস, পিকো লাগিয়ে দেন নিখুঁতভাবে ঘরে বসে এবং শাড়িপিছু ৬০ থেকে ১০০ টাকা রোজগার করে সংসারের কাজে লাগান, তাঁরা মেধাহীন। 
আমি শহরে থাকি এবং বাবুসমাজের অঙ্গ, তাই আমি মনে করছি আমাদের সহমত ছাড়া সবাই বুদ্ধিহীন। সবাই অশিক্ষিত। সকলেই রাজ্য সরকার অথবা শাসক দলের অনুগত। অথচ আমরা তিন মাস ধরে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে প্রমাণ করে দিয়েছি বেশি বেশি কথা বলে যে, আমরা জুডিশিয়াল ব্যবস্থা কীভাবে চলে সেটা জানি না। ভারতের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের প্রক্রিয়াটি ঠিক কী সেটা জানি না। যে কোনও ফৌজদারি মামলার তদন্ত কীভাবে অগ্রসর হয়, সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কাকে বলে আইন? কাকে বলে রুলস? কাকে বলে নোটিফিকেশন? কাকে বলে চার্জশিট? আমরা জানি না। আমরা বলেছিলাম, জাস্টিস চাই। কিন্তু কীসের জাস্টিস? ১৪ আগস্ট প্রথম রাস্তায় নেমেছিল মহানগরের একাংশ। প্রথমে বলা হয়েছিল নির্যাতিতার বিচার। ঠিক ২ মাস পর জানা গেল,  কোথায় রেস্ট রুম হবে, কোন কমিটিতে কে থাকবে, কেন ইউনিয়নের নির্বাচন হয় না, কত দ্রুত সিসিটিভি লাগাতে হবে, মোট ওয়াশ রুমের সংখ্যা কত এটা নিয়ে সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সন্তুষ্ট হওয়া গিয়েছে। নাগরিকরা জেনে গেলেন এটাই হল জাস্টিস! 
জুনিয়র ডাক্তার এবং নাগরিকদের একাংশের সবথেকে বড়  দুর্বলতা হল  এই ঔদ্ধত্য। এই যে 
উপরে যা যা লেখা হল, ঠিক এই মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে বিগত আড়াই মাসে। তাঁরা প্রথম থেকেই 
ধরে নিয়েছেন যে তাঁদের অভিমতের বিরুদ্ধপক্ষ 
হওয়া মানেই সে খারাপ, একমাত্র তাঁরা ভালো। 
সবাই অশিক্ষিত। একমাত্র তাঁরাই শিক্ষিত। কেউ কিছু জানে না। একমাত্র তাঁরাই সব কিছু জানেন। 
তাঁরাই ঠিক। সবাই ভুল। তাঁরা ভেবেছেন যে 
একমাত্র তাঁরাই নির্যাতিতার হয়ে বিচার ও 
দোষীর সাজা চান। অন্যরা চান না। এই বিস্ময়কর নির্বুদ্ধিতার কারণ জানা গেল না। 
আমি ঠিক এটা কে ঠিক করল? আপনি ঠিক এটাই বা কে ঠিক করল? আমি এবং আপনারা জীবনে তো বহু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি বা নিয়েছেন। অনুতাপ করি যে, অনেক ভুল হয়ে গিয়েছে। তাহলে সেই আমরা যখন কোনও একটি ইস্যুতে কোনও অবস্থান নিয়ে থাকি, তখন মনে রাখি না কেন যে, আমি কিন্তু আবার ভুলও করতে পারি? অতএব নিজেকে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের করব না! অর্থাৎ আমি যা বলি, যা ভাবি, যা বুঝি, সেটাই ঠিক। বাকিরা ভুল!— এরকম মনোভাবের মতো বৃহৎ অশিক্ষা তো আর হয় না। 
হাইকোর্ট চারদিনের মধ্যেই তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। সিবিআই দু মাস পর হুবহু কলকাতা পুলিসের মতোই মতপ্রকাশ করে চার্জশিট দিয়েছে। এখন মনে হতেই পারে যে সিবিআই এই চার্জশিটে প্রকৃত দোষীদের কথা বলেনি। যা আপনারা প্রবলভাবে বাইরে বলেছেন। ডেপুটেশন দিয়েছেন রাজ্যপালকে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার! যেখানে বলার দরকার ছিল, সেখানে বলেননি। সুপ্রিম কোর্টে ডাক্তারদের আইনজীবী এই নিয়ে একটিও বাক্য উচ্চারণ করলেন না! কেন? তদন্ত মনিটর করছে তো সুপ্রিম কোর্ট। এটা তো বিরাট বড় এক সুবিধা সুবিচার পাওয়ার। সেখানে বিগত একটিও শুনানিতে কি দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার জাস্টিস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? কতদিনের মধ্যে সব সিসিটিভি লাগানো হবে, কতদিনের মধ্যে রেস্ট রুম হয়ে যাবে, কতদিনের মধ্যে ঘোষিত ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণ সমাপ্ত হবে, এসবই এসেছে সওয়াল জবাবে। 
অবস্থান মঞ্চে, মিছিলে এবং সেমিনারে চিৎকার করে বলছেন যে, একা সঞ্জয় রায় ওরকম নারকীয় ঘটনার দোষী হতেই পারে না। নিশ্চিত একাধিক কেউ ছিল। এই কথাটা আপনাদের আ‌ইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বললেন না কেন? কারণ কী? 
এই আন্দোলনকারীদের এবার আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। এতদিন আপনারা ভেবে এসেছেন আপনারা শক্তিশালী। অবশ্যই শক্তিশালী। কিন্তু এবার ভাবুন যে সেইসব শক্তির মধ্যে আপনাদের দুর্বলতাগুলি কী কী ছিল! কেন এভাবে ক্রমেই একটি নাগরিক আন্দোলন নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পরিণত হল? তারপর কেন স্পষ্ট হল, তথাকথিত অরাজনৈতিক আন্দোলন আসলে রাজনীতির মাথারাই পরিচালনা করছে? এটা আসলে রাজনৈতিক আন্দোলন, এই ধারণা জনমনে প্রতীয়মান হল কেন? 
আপনাদের খুঁজে দেখতে হবে কারা ১৪ আগস্ট আপনাদের সঙ্গে ছিল মিছিলে, পদযাত্রায়, রাত দখলে। এবং তিন মাসের মাথায় সেই নাগরিকদেরই কতজন কেন আর নেই? কারা সরে গেল? কেন সরে গেল? কী কারণে বিরক্ত হল তারা? কেন ক্ষুব্ধ হল? যে ভিড় ছিল সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনের সামনের ধর্নামঞ্চে, সেই একই ভিড়, একই আবেগ, একই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা আবেগ কেন দেখা গেল না ধর্মতলায়? কারণ কী? 
সরকার এবং শাসক দল ব্যাকফুটে হয়ে গিয়েছিল। আপনারা প্রতিটি বৈঠকের পর একটি করে সিদ্ধান্তকে আপনাদের সপক্ষে আসতে দেখে উল্লসিত হয়েছেন। জয়ের আনন্দে আরও চাপ বাড়িয়েছেন। এবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন একক গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা, মাত্র দু মাস আগে ২৯ আসনে জেতা, মাত্র একমাস আগে চারটি উপ নির্বাচনে জেতা এবং দুর্বল বিরোধী দল থাকা সত্ত্বেও কেন সরকার এবং শাসক দল এরকম প্রায় সব কিছুই অনায়াসে মেনে নিয়েছে? নত হওয়ার একটা বার্তা দিচ্ছে! কারণ কী? স্নায়ুর লড়াইয়ে কেন সরকারপক্ষ লাগাতার সব মেনে নেওয়ার একটি বার্তা দিয়ে চলল? কেন ছিল সেই স্ট্র্যাটেজি? সেই কৌশলে অবশেষে লাভ হল? নাকি ক্ষতি হল? কার লাভ হল? কার ক্ষতি হল? 
অরাজনৈতিক অথবা রাজনৈতিক। কোনও যুদ্ধেই নিছক আবেগ, রাগ, টার্গেট ফিক্সড করা কিংবা অন্ধ যুক্তি নিয়ে অগ্রসর হলে পরাজয় অনিবার্য। তাই প্রতিপক্ষকে দুর্বল না ভেবে শক্তিশালী ভাবুন। নিজেদের অতিরিক্ত শক্তিশালী ভাবার বদলে দুর্বলতাকে চিহ্নিত করুন। আগাগোড়া থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া আন্দোলন লাগাতার ব্ল্যাকমেলের আন্দোলনে পরিণত হয়ে দিশাহীনতায় প্রবেশ করল কেন? ৪৮ ঘন্টা সময় দিলাম, নয়তো এই হবে। ঘড়ি টাঙানো হল। সর্বাঙ্গীণ স্বাস্থ্য ধর্মঘট করব। এই যে গণইস্তফা দিলাম কিন্তু! এসবে কী লাভ হয়েছে? আন্দোলনের সাফল্যের দিকেই নজর রাখা উচিত ছিল। হঠাৎ জাতির অভিভাবক হতে গেলেন কেন তাঁরা? 
এবার সময় এসেছে জুনিয়র ডাক্তারদের চিন্তা করার যে, তাঁদের বুদ্ধিদাতা কারা? কারা তাঁদের আন্দোলনের পরামর্শদাতা ছিলেন? সেই পরামর্শদাতাদের নিজেদের সাফল্য কতটা? যদি দেখা যায় কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে (যা প্রমাণিত), তাহলে আপনাদের তাদের কথায় ভেসে যাওয়ার আগে ভাবা দরকার ছিল যে, এরা তো নিজেরাই বারংবার ব্যর্থ! এরা আজ পর্যন্ত একটিও গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। মানুষ প্রত্যাখ্যান করছে তাদের। তাহলে ব্যর্থদের থেকে পরামর্শ নেওয়া এবং তাদের ফাঁদে পা দিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা নির্মাণ করা কতটা বুদ্ধিমত্তা? 
জুনিয়র ডাক্তারদের সম্পর্কে একটি কথা ভুল বলা হয়। সেটি হল, তাঁদের রাজনৈতিক দাবাখেলার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আদৌ কি কথাটি সত্যি? কারণ এই ডাক্তাররা বাচ্চা ছেলেমেয়ে নাকি? তাঁরা জানে না যে, কারা তাঁদের প্ররোচনা দিচ্ছে. কারা ব্যবহার করছে, কারা তাঁদের মাধ্যমে রাজনীতির খেলা খেলছে? এটা সম্ভব যে তাঁরা না জেনেশুনেই এই আন্দোলনে প্রবেশ করেছেন? সম্ভব নয়। তাঁরাও সমানভাবে যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে যুক্ত। কেউ কাউকে বাধ্য করতে পারে না। করেওনি। 
আন্দোলনের অন্যতম দুর্বলতাই হল বিরুদ্ধ মতকে তাচ্ছিল্য করা, অপমান করা, অসম্মান করা। এবং নিম্নবর্গকে সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দেওয়া। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া। যে দাবিগুলি নিয়ে এত দড়ি টানাটানি সেখানে গ্রামের প্রাইমারি হেলথ সেন্টার কিংবা ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়মিত আউটডোর, পরিপূর্ণ চিকিৎসা থেকে অপারেশনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি তোলা হল না কেন? কারণ এলিট বাবুসমাজের হাততালিতে ভেসে যাওয়া এই আন্দোলন নিম্নবর্গের কথা ভাবেইনি কখনও। কেন? কারণ তাদের তারা চেনেই না। তাই তাদের কখনও ভিক্ষুক বলা হয়। কখনও অশিক্ষিত বলা হয়। কখনও চাষা বলা হয়। কখনও বোকা ভাবা হয়। 
আন্দোলনকারীদের প্রধান ভুল কী? আরবান এলিট এবং আপার মিডল ক্লাসের একাংশের মরশুমি প্রতিবাদকে বিপ্লব ভাবা!  কৃষক, শ্রমিক, মজুর এবং দৈনিক শ্রম দৈনিক আয়ের মতো ওয়ার্কিং ক্লাস ছাড়া কোনও বিপ্লব অথবা পরিবর্তন সংঘটিত হয় না! সেদিন নবান্নে যে দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা এবং একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হল, সেটা থেকে সাড়ে ১০ কোটি সাধারণ মানুষের কী কী উপকার হল? গ্রামীণ, প্রান্তিক, ওয়ার্কিং ক্লাসের কী লাভ হল? আড়াই মাসে মিছিলে হেঁটে নাগরিকরা কী পেলেন? এই কি জাস্টিস?
25th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
একনজরে
যতটা ভাবা হয়েছিল, ততটা হয়নি। ফলে বড় বিপর্যয়ের থেকে রেহাই পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাধারণ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি পেল সাগর থেকে সুন্দরবন। ...

সেমেস্টার ব্রেক শুধুই পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু শিক্ষকদের অন-ডিউটি থাকতেই হবে। এই সময় যদি কোনও শিক্ষককে ছুটি নিতে হয়, তাহলে যথাযথভাবে লিভ অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। তারপর ছুটি মিললে সেইমতো ‘স্টেশন লিভ’ করা যাবে। ...

ঝড় হয়নি। জেলায় শুধু জোরালো হাওয়া বয়ে গিয়েছে। তাতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার ধান চাষিদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। হাওয়ায় ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ...

এসে গেল বাজাজ অটোর নতুন পালসার বাইক। পালসার এন সিরিজের নতুন সংযোজন ১২৫ সিসির এন১২৫। ট্রেন্ডি গ্রাফিক্স, স্টাইলিশ এই বাইকের দাম শুরু হচ্ছে ৯৪ হাজার টাকা থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৮৬৩:  ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ব্রিটেনের ফুটবল সমিতি লণ্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ফুটবল খেলার প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়, তাতে আধুনিক ফুটবলের জন্ম ঘোষিত হয়। পরে এই দিনকেই আধুনিক ফুটবলের জন্মদিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়
 ১৮৭৩: শের-ই-বাংলা ফজলুল হকের জন্ম
১৮৭৯: রুশ বিপ্লবী নেতা লিও ট্রটস্কির জন্ম
১৮৮১: দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্ম
১৮৯০: ভাষাচার্য তথা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ভাষাবিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ হীরালাল সেনের মৃত্যু
১৯২৭: গোয়েন্দা কাহিনীকার শ্রীস্বপন কুমার, জ্যোতিষী শ্রীভৃগু ও ডাক্তার এস এন পাণ্ডে নামে পরিচিত ডাক্তার সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডের জন্ম
১৯৩৪: মহাত্মা গান্ধীর উদ্যোগে গ্রামীণ শিল্প সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৩৭: সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের জন্ম
১৯৪৭: জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে সায় দিলেন সেখানকার মহারাজারা
১৯৫০: মাদার টেরিজা ভারতের কলকাতা শহরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬৪: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় শেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল এরিক এডগার কুকের
১৯৭৪: অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৯ টাকা ১১০.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৫ টাকা ৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দিনপঞ্জি------------------------------------------------------------ -                                           

দৃকসিদ্ধ: ৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। দশমী ৫৯/১৫ শেষরাত্রি ৫/২৪। অশ্লেষা নক্ষত্র ১০/১০ দিবা ৯/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৪১/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৫৯/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৫ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। 
৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। নবমী দিবা ৬/৩৮। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ১/৩৫। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/০ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৩ গতে ৩/১৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/৭ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/১১ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। 
২২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির শাহদারা জেলার একটি এটিএম-এ আগুন, ঘটনাস্থলে হাজির দমকল

10:34:00 PM

দোদরা-কাওয়ারে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু

10:26:00 PM

চিত্রকূটে এলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব

10:05:00 PM

দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালকেই জেতাবে, বিজেপি নার্ভাস কারণ তারা জানে তারা দিল্লিতে জিততে পারবে না, বললেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং

09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৪-০ গোলে হারাল হায়দরাবাদ

09:29:00 PM

আইএসএল: মহামেডান ০-হায়দরাবাদ ৪ (৮১ মিনিট)

09:12:00 PM