কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামরার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়। তখন সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার। ডানার গতিপথের মাঝেই ছিল ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলা। তবে সেখানে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এমনকী ভিকরকণিকা জাতীয় উদ্যানেও কোনও বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। পুরো পরিস্থিতির সামাল দিতে ছয় হাজারের বেশি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছিল। বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ছয় লক্ষের বেশি মানুষকে আগেই সরিয়ে আনা হয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়ে। বিপর্যয় মোকাবিলায় আগে থেকেই যাবতীয় ছক কষে ফেলেছিল ওড়িশার সরকার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন ১০টি জেলাকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তড়িঘড়ি সেইসব জেলায় ২০টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও ৫১টি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে পাঠানো হয়েছিল। এরা দ্রুত বিপজ্জনক এলাকাগুলি থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনে। পাশাপাশি ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংপুর, পুরী, বালেশ্বর ও ময়ূরভঞ্জে এমন ছয়জন আইএএস আধিকারিককে পাঠানো হয়েছিল যাঁদের ঝড় সামলানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে। এমনকী উপকূলবর্তী জেলায় দুর্ঘটনা এড়াতে হোর্ডিংগুলিকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।
ডানার জেরে ওড়িশায় কারও প্রাণহানি হয়নি। এদিন সকালে দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, সফল হয়েছে ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি মিশন’। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, এর নেপথ্যে রয়েছেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আজকের এই জিরো ক্যাজুয়ালটি মডেল তাঁর হাতেই তৈরি। ১৯৯৯ সালে পারাদ্বীপে সুপার সাইক্লোনে প্রাণ হারান প্রায় হাজার দশেক মানুষ। এর পরের বছরই ক্ষমতায় বসেন নবীন। তারপরই তিনি ঝড়ের ক্ষতি সামলানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। রাজ্যে বারবারই আঘাত হেনেছে হুদহুদ, ফণী, তিতলি, যশের মতো একাধিক ঘূর্ণিঝড়। প্রতিবারই নবীন সরকারের কাজকর্ম প্রশংসিত হয়েছিল। এমনকী রাষ্ট্রসঙ্ঘও তাঁর উদ্যোগের প্রশংসা করে। বস্তুত, নবীনের গড়ে দেওয়া সেই ভিতের উপরই আজ সাফল্যের দামামা বাজাচ্ছে বর্তমান বিজেপি সরকার। ডানার ঝাপটায় এবার ওড়িশা মৃত্যুহীন।