উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্র চালানোর জন্য প্রতারকরা ফেসবুকে গ্রুপ খুলছে। অনেকেই সেই গ্রুপে যুক্ত হচ্ছেন। তারপরই প্রতারকরা ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার সেজে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার টোপ দিচ্ছে। কীভাবে বিনিয়োগ করা যাবে? ছদ্মবেশী প্রতারকরা জানাচ্ছে, তাদের অ্যাপ ডাউনলোড করে বিনিয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগ করার পর কত টাকা রিটার্ন মিলছে, সেই ব্যালেন্স দেখা যাবে ওয়েবসাইটে। তার জন্য প্রতারকরা ভুয়ো অ্যাপ তৈরির পাশাপাশি, একটি ভুয়ো ওয়েবসাইটও তৈরি করছে।
ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজারের কথায় বিশ্বাস করে অনেকেই প্রথমে ২০ হাজার, ৫০ হাজার বিনিয়োগ করছেন। সেই টাকার কয়েকদিনেই দ্বিগুণ করে রিটার্ন দিচ্ছে প্রতারকরা। তারপরই কেউ কয়েক লক্ষ, কেউ আবার কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফেলছেন। কয়েকদিন পরই তাঁরা প্রতারকদের ওয়েবসাইটে দেখতে পাচ্ছেন, টাকা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেউ সেই টাকা তুলতে পারছেন না। কারণ ওয়েবসাইটে যে ব্যালেন্স দেখাচ্ছে তা ভুয়ো। অনেকে টাকা তোলার সময় দ্বিতীয়বারও প্রতারিত হচ্ছেন। প্রতারকরা ফোন করে বলছে, আয়কর রিটার্ন জমা দিয়ে সুদের টাকা তুলতে হবে। তাহলে কোনও ভয় নেই। অনেকে হাতে টাকা পাওয়ার আগেই আয়কর রিটার্নও দিয়ে ফেলছেন। এখানেই শেষ নয়, ছদ্মবেশী ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার পরামর্শ দেওয়ার জন্য পারিশ্রমিকও নিচ্ছে।
পুলিস জানিয়েছে, সম্প্রতি এই চক্রটি সক্রিয় হয়েছে। ইতিমধ্যে সল্টলেকের এক ব্যক্তি দু’কোটি ৮৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন। তিনি প্রথমে অল্প বিনিয়োগ করে রিটার্ন পেয়েছিলেন। তারপরই সমস্ত জমানো টাকা বিনিয়োগ করে দেন। তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থও হয়েছেন। ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই ফাঁদে যাতে কেউ পা না দেন, সে ব্যাপারে বিধাননগর কমিশনারেটের ফেসবুক পেজে সচেতন করার কাজও শুরু হয়েছে। বিধাননগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস কমিশনার সম্বিতি চক্রবর্তী বাংলা ও ইংরেজিতে দু’টি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যাচাই না করে এই ধরনের বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকার বার্তা দিছে পুলিস।