সংবাদদাতা, রামপুরহাট: ‘এবার দিল্লিতে তিহার জেলে গিয়ে কেষ্টদার সঙ্গে দেখা করব’। জয়ের পর বুধবার সকালে সপরিবারে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী শতাব্দী রায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, তারামাকে পুজো দিয়েই ভোটের প্রচার শুরু করেছিলাম। আমার বিশ্বাস তারা মায়ের আশীর্বাদ আছে বলেই এতগুলি বছর বীরভূমে কাটাতে পেরেছি। আগামীদিনেও পারব। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতবারের থেকে দ্বিগুণ ব্যবধান বাড়িয়ে প্রায় দু’লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছেন শতাব্দী। ৪৭ শতাংশ মানুষের ভোট পেয়েছেন তিনি। মাত্র ১৪.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন জোট প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৩৪.১ শতাংশ ভোট। সাতটি বিধানসভার বড় অংশের মানুষ শতাব্দীর উপর আস্থা রেখেছেন। চতুর্থবারের জন্য তাঁকে নির্বাচিত করেছেন। বিপুল জয়ের পর মঙ্গলবার রাতেই তারাপীঠে পুজো দেওয়ার ইচ্ছে ছিল শতাব্দীর। কিন্তু সিউড়ির গণনা কেন্দ্র থেকে ফিরতে রাত হয়ে যাওয়ায় তারাপীঠ আসতে পারেননি। এদিন সকালেই স্বামী, মেয়ে ও বউদিকে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠে এসে দেবীকে শাড়ি ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে পুজো দেন। এই দিনটিও তারাপীঠে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলহারিণী অমাবস্যা। কৌশিকী অমাবস্যার পর এই দিনটিতে ব্যাপক পুণ্যার্থী সমাগম ঘটে এই তীর্থক্ষেত্রে। এদিন অনেকেই শতাব্দীকে দেখে জয়ের শুভেচ্ছা জানান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শতাব্দী বলেন, তারামাকে পুজো দিয়েই আমার প্রচার শুরু হয়। তারাকে নিয়েই আমার সারাবছর চলে। আমি বিশ্বাস করি তারামা আছেন বলেই এতবছর বীরভূমে কাটাতে পারছি। তিনি বলেন, দিল্লিতে গিয়ে কেষ্টদার সঙ্গে দেখা করব। এদিন মন্দির কমিটির পক্ষে সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় শতাব্দী রায়কে জয়ের শুভেচ্ছা জানান।