উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
জয়ের ব্যবধান অনেকটা বাড়িয়ে হাওড়ার লোকসভা আসনটি নিজেদের দখলে রেখেছে তৃণমূল। গতবার যেখানে জয়ের ব্যবধান ১ লক্ষ ৩ হাজার ভোট ছিল, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৯ হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৬৬ হাজার ভোট বাড়িয়ে নিজেদের ঘাঁটি আরও মজবুত করেছে। মধ্য হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্র একাই লিড দিয়েছে ২৫ হাজারের বেশি। যা রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের বিধানসভা ক্ষেত্র। এই বিধানসভা কেন্দ্রের ১৩টি ওয়ার্ডে বিজেপিকে কার্যত দুরমুশ করেছে তৃণমূল। এর মধ্যে রয়েছে ১৯, ২০, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৩৭ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড। সবচেয়ে বেশি লিড এসেছে ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। টিকিয়াপাড়ার এই ওয়ার্ড থেকে দশ হাজার লিড পেয়েছেন প্রসূন। এই লিডের বড় অংশই এসেছে গরিব ও মধ্যবিত্ত এলাকা থেকে। তৃণমূলের ভোট বেড়েছে বাংলাভাষী এলাকায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গত ৫ বছরে মূল্যবৃদ্ধির কাঁটায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ। রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রল-ডিজেল বা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বিজেপি’র আমলে লাগামছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। সেকারণেই বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে মানুষ আস্থা রেখেছে তৃণমূলে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও মধ্যবিত্ত এলাকায় দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। সেইসঙ্গে ‘ফ্যাক্টর’ অরূপ রায়। এলাকায় তাঁর বছরভর জনসংযোগ এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা শুধু মধ্য হাওড়া নয়, গোটা কেন্দ্রেই দাগ কেটেছে জনমানসে। ফলাফলের পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, মধ্য হাওড়ায় ২৫ হাজার ৩১৫ ভোটে লিড পেয়েছেন প্রসূন। যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৭ হাজার বেশি।
তবে উচ্চবিত্ত এলাকা বা অভিজাত কমপ্লেক্সে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। মধ্য হাওড়ার আবাসনের ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে আসেনি। উল্টে সেখানে লিড পেয়েছে বিজেপি। এই বিধানসভা এলাকায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৭, ১৮, ২৭, ২৯ এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। এ নিয়ে মধ্য হাওড়া তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুশোভন চট্টোপাধ্যায় (বুবুল) বলেন, পাঁচ বছরে মোদি সরকার সাধারণ মানুষের উপর অস্বাভাবিক হারে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। তার জবাব দিয়েছেন মানুষ।