উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে পাহাড় পর্যন্ত অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফালাকাটায় পুরসভা তৈরি হয়েছে। ধূপগুড়িকে করা হয়েছে মহকুমা। পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের চা বলয়ের শ্রমিকদের প্রদান করা হচ্ছে জমির অধিকার। ইতিমধ্যে বহু চা শ্রমিককে পাট্টা ও আবাসন দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছেছে ঘরে ঘরে। তা সত্ত্বেও চব্বিশের ভোটে পাহাড়, জঙ্গল, চা বাগান ঘেরা এই অঞ্চলে দাগ কাটতে পারল না জোড়াফুল শিবির।
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ার অন্যতম। পাহাড়, জঙ্গল ও চা বাগান ঘেরা এখানে গতবারের তুলনায় লিড কমলেও কেন্দ্রটি কব্জায় রেখেছে বিজেপি। এবার তাদের লিড ৭৫ হাজার ৪০০ ভোট। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, প্রচারের মঞ্চে আসন অলঙ্কিত করলেও ময়দানে সেভাবে ছিলেন না দলের অনেক নেতা। তাঁরা গাছাড়া মনোভাব নিয়ে ভোটযুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন। এজন্যই এখানে ফল এমন হয়েছে। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি তথা প্রার্থী প্রকাশচিক বড়াইক অবশ্য বলেন, চা বলয়ে দলের ফলাফল ভালো হয়েছে। কিন্তু আলিপুরদুয়ার, তুফানগঞ্জ শহর ও গ্রামীণ এলাকায় চাহিদামতো ভোট মেলেনি। এর কারণ খোঁজা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দলে এ ব্যাপারে একপ্রস্থ আলোচনা করা হয়েছে।
তিস্তা নদী, জঙ্গল ঘেরা জলপাইগুড়ির অবস্থাও একই। এখানে গতবারের তুলনায় এক লক্ষ ভোটের ব্যবধান কমলেও কেন্দ্রটি কব্জায় রেখেছে বিজেপি। দলীয় নেতা-নেত্রীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই তৃণমূল এই আসন পুনরুদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ। পাহাড় ও সমতল নিয়ে দার্জিলিং আসনেও তৃণমূলে ফল একই। এই আসনটি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিরই দখলে। সমতলে তৃণমূলের অন্তর্ঘাতের জেরেই এবারও বিজেপি কেন্দ্রটি কব্জায় রেখেছে বলে অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট তিনটি কেন্দ্রের ভোটের ময়দানে শামিল হয়েছিলেন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। তিনি অবশ্য বলেন, আলিপুদুয়ারের কিছু জায়গায় দলের ফল ভালো হয়েছে। ডুয়ার্সের চা বলয়ে লিডও মিলেছে। আবার জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির কিছু জায়গায় খারাপ ফল হয়েছে। যা ভাবা যায়নি। তাই সমস্ত কেন্দ্রের বুথভিত্তিক ফলাফল গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এরপরই হারের কারণ বোঝা যাবে।
গৌতমবাবু যাই বলুনা না কেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, উন্নয়নের স্বাদ বদল, সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা প্রদান, এমনকী ভোটে এখানে ঘাঁটি গেড়ে প্রচার করেন মুখ্যমন্ত্রী। তা হলেও ওই তিনটি কেন্দ্রে তৃণমূল আশানুরূপ ফল করতে পারল না। কারণ তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতা।