উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
একদা তৃণমূল নেতা হিসেবে সিতাই বিধানসভার দিনহাটা-১ ব্লকে অধিকাংশ পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল নিশীথ অনুগামী নির্দলরা। এবার নিশীথ বা অন্য যে কেউ সিতাইয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হলে, তাঁর জমানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন দিনহাটার বিধায়ক তথা উদয়ন গুহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হারায় কার্যত হাল ছেড়েছে বিজেপিও। নির্বাচন ফল পরবর্তী চাপা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে তারা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বুধবার বলেন, সিতাই বিধানসভায় এবার উপনির্বাচন হবে। বিজেপি যাঁকেই প্রার্থী করুক না কেন, তাঁর জমানত বাজেয়াপ্ত হবে। তাঁর সংযোজন, নিশীথ প্রামাণিক দাঁড়ান বা অন্য কেউ গো-হারা হারিয়ে ছাড়ব। এটাই চ্যালেঞ্জ।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক জীবেশ বিশ্বাস বলেন, ভোটের ফল প্রকাশ হতেই চাপা সন্ত্রাস শুরু করেছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে মানুষ বুথমুখী হবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান কাজ। একদা তৃণমূলের যুব নেতা ছিলেন নিশীথ। পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কোচবিহারের সাংসদ হন দিনহাটার ঘরের ছেলে। ভাগ্যের ফেরে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। ২০২৪-এর নির্বাচনে লড়াই ছিল দিনহাটার মহকুমার আরএক ভূমিপুত্র তথা তৃণমূলের প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার বিরুদ্ধে। ভাগ্যদেবতা এবার জগদীশবাবুর উপর সুপ্রসন্ন। বিধায়ক থেকে এমপি হলেন। এবার সিতাই বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে তৎকালীন টিএমওয়াইসি নেতা নিশীথের নেতৃত্বে নির্দল ভালো ফল করে। সিতাই বিধানসভায় বেশি প্রভাব ছিল নিশীথ অনুগামীদের। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিতাই বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি ভোটে পিছিয়ে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নিশীথ পরাজিত হয়েছেন। তাই পদ দিতে সিতাই বিধানসভা থেকে ওঁকে দাঁড় করাতে পারে বিজেপি, এমনটা মনে করছে গেরুয়া শিবিরের অনেকেই।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৫৭ ভোটে নিশীথের কাছে পরাজিত হয়েছিলে উদয়ন গুহ। পরে উপনির্বাচনে দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হন উদয়নবাবু। এবার সিতাইতে উপনির্বাচনে নিশীথ প্রার্থী হলে দিনহাটা বিধানসভা উপনির্বাচনের মার্জিনকে ছাপিয়ে যেতে হবে বলে অনুগামীদের বার্তা দিয়েছেন উদয়ন। অন্য সময় নিশীথের বাড়ির সামনে থাকে গাড়ির লম্বা লাইন।
এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ানকে তাঁর বাড়ির গেট আগলে রেখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এমনটা গত পাঁচ বছরে দেখেননি জানান স্থানীয়রা। বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু এসব নিয়ে কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেন, ভোটের হারের কারণ নিয়ে দলে পর্যালোচনা হবে।