উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস সম্মিলিতভাবে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ভোট পেয়েছিল। সেই নিরিখে পাঁচ বছরে তাদের ২১ হাজার ভোট বেড়েছে। তবে তারা প্রত্যাশার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি। সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদি বলেন, আমরা মানুষের রুটি রুজি, চাকরি এই ইস্যু নিয়েই নির্বাচনে লড়াই করেছি। তৃণমূল-বিজেপির মতো আমরা মেরুকরণের রাজনীতি করিনি। তৃণমূল ও বিজেপি একত্রিত হয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়েছে। আমাদের ফল কোথায় খারাপ হল, তা আমরা পর্যালোচনা করে দেখব।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল ও বিজেপির মুখোমুখি লড়াইয়ের মধ্যেও নজর কেড়েছিল সিপিএমের ‘উত্থান’। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে লালপার্টির নেতারা ভালোই নজর কেড়েছিলেন। বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে সিপিএম ভালো ফল করে। লোকসভা নির্বাচনের দিনেও দাপিয়ে ভোট করাতে দেখা গিয়েছিল বামেদের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ধরে নিয়েছিলেন, নির্বাচনী ফলাফলে বামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কিন্তু, ফলাফল বের হতেই অন্য ছবি ধরা পড়ল। কারণ, সংখ্যালঘু ভোটকে হাতিয়ার করে বামেরা লোকসভায় ভোট বাড়ানোর দাবি করেছিল। সেই সংখ্যালঘু ভোটেই কৃষ্ণনগরে বামেদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বহু সিপিএম পরিচালিত বুথেই ফল ভালো করেছে তৃণমূল।
যার মধ্যে নজর কেড়েছে কালীগঞ্জের পালিতবেগিয়া পঞ্চায়েত। এখানে মুখ পুড়েছে বামেদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়ার মধ্যে একমাত্র এখানেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছিল সিপিএম। সেই পঞ্চায়েত থেকেই এই লোকসভা নির্বাচনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার লিড পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। পঞ্চায়েতটি নাকাশিপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত হলেও কালীগঞ্জ ব্লক নেতৃত্বই এই পঞ্চায়েতের দায়িত্বে রয়েছে। পঞ্চায়েতের এই অভূতপূর্ব ফলাফলে উচ্ছ্বসিত কালীগঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেফালি খাতুন বলেন, ‘মানুষ সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে হারাতে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হাত শক্ত করেছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে সিপিএম নয়, তৃণমূলই পারে বিজেপিকে উৎখাত করতে। পালিতবেগিয়া পঞ্চায়েত তার জ্বলন্ত উদাহরণ।’
সিপিএম নেতা দেবাশিস আচার্য বলেন, ‘প্রতিটা নির্বাচনের প্রেক্ষিত আলাদা হয়। তবু কেন ভোট কমল, তা পর্যালোচনা করব।’ শুধু পালিতবেগিয়া নয়, চাপড়া বিধানসভার বাম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় থাকা বৃত্তিহুদা পঞ্চায়েতেও তৃণমূল ১২ হাজার লিড পেয়েছে। হতাশ করেছে বিধানসভা ভিত্তিক বামেদের ফলাফলও। তেহট্ট বিধানসভায় ২৮ হাজার ৪৫৯, পলাশীপাড়ায় ২৯ হাজার ৩৬৪, কালীগঞ্জে ৩৬ হাজার ৬৯৮, নাকাশিপাড়ায় ২৪ হাজার ৩৭৩, চাপড়ায় ২৫ হাজার ৮৪, কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার ১১ হাজার ৮৪৮, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভায় ২৩ হাজার ২৩৭ ভোট পেয়েছে বামেরা।