উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, আমি সারাবছর সাধারণ মানুষের পাশে থাকি। আগামীদিনেও আমি সাধারণ মানুষের পাশে থাকব। এবার আরও বেশি দায়িত্ব বাড়ল। আরও বেশি কাজ করার চেষ্টা করব। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই ভোটে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই জয় এনে দিয়েছে। সকলকে ধন্যবাদ।
গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী খলিলুর রহমান ৫ লক্ষ ৬২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। বরাবরই কংগ্রেসের দখলে থাকা আসনটিকে ছিনিয়ে নেন খলিলুর সাহেব। তৎকালীন সাংসদ কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন। তবে সেবার অপ্রত্যাশিতভাবে বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন প্রায় ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে গেরুয়া শিবির। লোকসভার সাতটি ব্লকেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। সেই থেকে বিজেপি জঙ্গিপুর আসনটি ছিনিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করে। এবার অবশ্য মাফুজা খাতুনের বদলে ধনঞ্জয় ঘোষকে প্রার্থী করা হয়। ভোট প্রচারে বিজেপি নেতাদের প্রায় বলতে শোনা গিয়েছিল, গতবার দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছি এবার প্রথম হওয়ার মোক্ষম সময়। যদিও সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। বিজেপি এবার তাদের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে অসমর্থ হয়েছে। বিজেপির এমন ফলাফলে কর্মী-সমর্থকরাও হতাশ। তারা আরও ভালো ফলের আশা করেছিলেন।
তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস এবার ৪ লক্ষ ২৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। যদিও সিপিএম নেতা ও কর্মীরা জোট প্রার্থীর হয়ে মাঠে নেমে সক্রিয়ভাবে প্রচার করাতেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা সম্ভব হয়েছে বলে অনেকের অভিমত। এপ্রসঙ্গে জোট প্রার্থী কংগ্রেসের মর্তুজা হোসেন বলেন, আমাদের ভোট বেড়েছে। জনগণ যাঁকে চেয়েছেন তিনি জয়ী হয়েছেন। আমরা যেভাবে সারাবছর সাধারণ মানুষের কাজ করি, পাশে থাকি, আগামী দিনে সেভাবেই পাশে থাকব।
বিজেপির পরাজিত প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসব। জয় পরাজয় জনগণের মতাধিকারের উপর নির্ভর করে। পরাজিত হলেও গতবারের তুলনায় আমাদের এবার প্রায় সাড়ে ২২ হাজার ভোট বেড়েছে।