সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থানীয় লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা হয়ে থাকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বরাবরই লোক সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। এখনও গ্রাম বাংলায় দিনাজপুরের খনগান জনপ্রিয়। এর সঙ্গে জেলা তথা কুশমণ্ডির মুখা শিল্প বিশ্বের দরবারে নাম উজ্জ্বল করেছে। জেলার দুই লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণাকেন্দ্র গড়ার দাবি তুলছেন অনেকে। তাঁদের দাবিকে সমর্থন করছে শিক্ষামহলও।
কুশমণ্ডি কলেজের অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ায় কোথায় উন্নয়ন প্রয়োজন ভালো করেই জানেন। আমরা আশা করব খন ও মুখোশ শিল্প যাতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জেলায় খন ও মুখার গবেষণা কেন্দ্র গড়তে পারলে পরের প্রজন্মের সুবিধা হবে। জেলার অর্থনৈতিক উন্নতিও সম্ভব। তাছাড়া রাজ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আরেকটি উত্তরবঙ্গে হলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা।
এপ্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্য সরকার পরিচালিত। লোকসংস্কৃতি নিয়ে পড়াশোনা করানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কেই উদ্যোগ নিতে হবে। গবেষণা কেন্দ্র করার জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করলে রাজ্য সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। রাজ্যে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়। উত্তরবঙ্গ যেহেতু সবক্ষেত্রে পিছিয়ে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করা হবে।
দিনাজপুর খনপালা লোক সংস্কৃতি কেন্দ্রের অন্যতম সদস্য অরিন্দম সিংহ রানার কথায়, জেলার হারিয়ে যেতে বসা খন ও মুখা নিয়ে কাজ করি। লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র হলে পরের প্রজন্ম এই শিল্প সম্পর্কে জানতে পারবে।