সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রী রুপালি সরকারের (২১) বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের বাংলা পাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেল ক্যাম্পাসে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সহপাঠীরা। গঙ্গারামপুর থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জিএনএম কোর্স করছিলেন রুপালি। সাতমাস আগে ওই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে নার্সিং ছাত্রীর পরিবার। পড়াশোনার চাপ, মানসিক অত্যাচার নাকি অবসাদে আত্মহত্যা, বুঝতে পারছেন না তাঁরা।
হস্টেলে রাতে ইনচার্জ ও শিক্ষিকারা থাকার পরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। কলেজের শিক্ষিকা রাজশ্রী রায় বলেন, আমি যতক্ষণ হস্টেলে ছিলাম, কিছু ঘটেনি। ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পেয়েছি সকাল ১০ টার দিকে। সকাল ৭ টা পর্যন্ত আমার ডিউটি ছিল। তারপর কী হয়েছে জানি না। আমাদের এখানে কাউকে চাপ দেওয়া হত না।
মৃতার বাবা শান্ত সরকার বলেন, বুধবার রাতে আমি ও স্ত্রী মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। কেন মেয়ের মৃত্যু হল, কিছুই বুঝতে পারছি না। মেয়ে শুধু বলেছে শরীর খারাপ রয়েছে। গঙ্গারামপুর থানার সঙ্গে কথা বলছি।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, নার্সিং পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। হস্টেলে পড়ুয়াদের মানসিক চাপ দেওয়া হত কি না, তদন্ত করে দেখছি। মৃতার পরিবার কী অভিযোগ করে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছি।