সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) জামিল ফতেমা জেবা বলেন, ১৪টি জলের ট্যাঙ্ক ও ২০ হাজার পাউচ পানীয় জল মেলায় থাকবে। ফলে তেমন সমস্যা হবে না। তারপরেও জলের প্রয়োজন হলে তা সরবরাহ করা হবে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা মেলা প্রাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন। উদ্বোধনে জেলাশাসক, পুলিস সুপারের থাকার কথা রয়েছে।
মহোৎসবকে ঘিরে সবমহলের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পুণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে মহাপ্রভুর চরণ এবং মদন মোহন মন্দির এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে দোকান বসিয়েছেন। মহাপ্রভুর টানে মেলা উপভোগ করতে কয়েক দিন আগেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু, সন্ন্যাসীরা রামকেলিতে ভিড় জমিয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই ত্রিপলের তাঁবু করে গ্রামে থাকছেন।
তীব্র গরমে ভক্তদের পানীয় জলের জোগান নিয়ে উদ্যোক্তারা বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। রামকেলি মদন মোহন জিউর মন্দিরের সেবায়েত মদন মোহন পাণিগ্ৰাহী বলেন, এবারে মেলা ৫১০ বছরে পড়ল। আজ, শুক্রবার বিকেলে মেলার সূচনা হবে। সন্ধ্যায় অধিবাস হবে। তারপর ১৭ জুন পর্যন্ত মন্দিরে কয়েকদিন ধরে লীলা সংকীর্তন, ভোগ, প্রসাদ বিতরণ করা হবে। বীরভূম থেকে রামকেলি মেলায় এসেছেন রাধা রমন দাস বৈরাগ্য। তিনি বলেন, আমরা রামকেলি মেলাতে ২৮ বছর ধরে আসছি। এবারও আমার সঙ্গে অনেকে এসেছেন। আমরা আটদিন থাকব। প্রতিবছর আমাদের পানীয় জলের খুব অসুবিধা হয়। অন্য ভক্তদেরও হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।
পাঁচ শতাব্দী আগে গৌড়ের রাজা ছিলেন হোসেন শাহ। তাঁর দুই মন্ত্রী রূপ ও সনাতন গোস্বামী রাজকর্মের পাশাপাশি রামকেলিতে ভজনসাধন করতেন। সেজন্য ব্রজ বৃন্দাবনের আদলে তাঁরা আটটি সখীর নামে কুণ্ড খনন করেন। মদন মোহন মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেন। ওই মহাবৈষ্ণবদের টানেই ১৫১৫ সালে চৈতন্য দেব হেঁটে নাম সংকীর্তন গাইতে গাইতে রামকেলি ধামে এসেছিলেন। তাঁদের মিলন হয়েছিল মদন মোহন মন্দির সংলগ্ন কেলিকদম্ব ও তমাল গাছের তলায়। এখনও সেই মন্দির রয়েছে। মহাপ্রভুর মিলনের জন্য মদন মোহন মন্দিরকে ঘিরেই রামকেলির মেলা হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে।