সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
অভিযোগ, টানা বৃষ্টির সুযোগে মাফিয়ারা জঙ্গলে ঢুকে কাঠ কেটে নদীপথে পাচার করছে। কারণ বর্ষায় ডুয়ার্সের নদীগুলি ফুলেফেঁপে ওঠে। জঙ্গলে কাঠ কেটে মাফিয়ারা এই নদীর জলেই ভাসিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের লোকজন নদী থেকে সেই কাঠ তুলে নেয়। লাগাতার কয়েক বছর ধরে এভাবে বর্ষার মরশুমে কাঠ পাচার বাড়ায় উদ্বিগ্ন বনদপ্তরের কর্তারা। এক বনকর্মী বলেন, বড় বড় শাল-সেগুনের গুঁড়ি কেটে ভেলা বানানো হয়। অনেক সময় সেই ভেলার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় গাড়ির চাকার বড় বড় টিউব। হাওয়া ভর্তি টিউবগুলিই ভারী কাঠের গুঁড়িগুলিকে জলে ভাসিয়ে রাখে। জলের স্রোত সহজেই ভেলাগুলিকে বহুদূর ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আর নদীর পাশ দিয়ে যায় পাচারকারীরা। নির্দিষ্ট জায়গার আগেই প্রস্তুত থাকে তাদের লোকজন। কোমরে দড়ি বেঁধে জলে নেমে সেই কাঠের ভেলা ডাঙায় তোলে তারা।
মোরাঘাটের রেঞ্জার রাজকুমার পাল বলেন, বর্ষা আসলেই ডুয়ার্সের নদীগুলি দিয়ে কাঠ পাচার বেড়ে যায়। তবে বনদপ্তরের কর্মীরা প্রতিটি নদীতেই নজরদারি চালাচ্ছে।
পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, বনকর্মীদের নজরদারি বাড়লেই নদীতেই ভারী কিছু দিয়ে কাঠগুলিকে ডুবিয়ে রাখা হয়। বনকর্মীদের নজরদারি শিথিল হলে তারপর নদী থেকে কাঠ তোলা হয়। এমনকী রাতের বৃষ্টির সুযোগেও নদী থেকে কাঠ তোলা হয় যাতে কেউ টের না পায়।