সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
প্রতিবছর ছটপুজোর সময় তোর্সা নদীর উপর ওই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। এই সাঁকো দিয়ে পায়ে হেঁটে পারাপারের পাশাপাশি বাইক, টোটোও চলাচল করে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই সাঁকোর উপর দিয়েই চলাচল করেন। কিন্তু প্রতি বর্ষাতেই সাঁকোটি জলের তোড়ে ভেসে যায়। সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দের। সাঁকো ভেসে যাওয়ার পর যতদিন না ফেরিঘাট থেকে নৌকা চলাচল শুরু হয়, ততদিন পর্যন্ত ঘুঘুমারি সেতু দিয়ে ঘুরপথে গড়ে প্রায় ১০ কিমি পথ পেরিয়ে তাঁদের শহরে আসতে হয়। কোচবিহার থেকেও যাঁরা নানা কাজে গ্রামাঞ্চলে যান, তাঁদেরও ওই ঘুঘুমারি সেতু দিয়ে ঘুরপথেই যেতে হয়। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাঁসিরঘাটের জন্য রি-টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এই টেন্ডারের কাজ করছে।
কোচবিহারের মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিয়ম অনুসারে রি-টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে ঘাট রয়েছে। খুব শীঘ্রই সেখান দিয়ে নৌকা চলাচল করবে।
কোচবিহার শহরের গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে তোর্সা নদী। তোর্সা নদী পার হয়ে ওপারে রয়েছে কোচবিহার দক্ষিণ ব্লকেরই বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই সব এলাকার মানুষকে রুটিরুজির টানে দীর্ঘদিন ধরেই নদী পেরিয়ে কোচবিহারে আসতে হয়। ফলে তোর্সার ফাঁসিরঘাট এলাকায় একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণেরও দাবি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। কিন্তু সেতু না হওয়ায় সেখানে প্রতিবছর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। ভূমি ও ভুমি সংস্কার দপ্তরের মাধ্যমে টেন্ডার ডেকে এই কাজ দেওয়া হয়। সারা বছর এই সাঁকো দিয়েই পারাপারের কাজ চলে। তোর্সায় যখন জল কম থাকে তখন সাঁকো দিয়ে নদী পারাপারের কাজ ভালোই চলে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় বর্ষার সময়। এখনও বর্ষার বেশ কয়েক মাস মানুষকে নৌকা করেই এখানে নদী পেরোতে হয়।