সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
ভোটের আগে দেশজুড়ে হুড়োহুড়ি পড়েছিল বিজেপি নেতাকর্মী মন্ত্রী ও সমর্থকদের মধ্যে নিজেদের নামের পাশে মোদির পরিবার লেখার। কারণ একটাই, মোদি সর্বদা পরিবারবাদ নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেন, অপমান করেন, তাঁর নিজের পরিবারের প্রতি কেন দায়বদ্ধতা নেই? বিরোধীরা এই প্রশ্ন তুলেছিল! তারপরই শুরু হয় হুজুগ। বিপর্যয়ের পর এখন মোদি নিজেই তা সরিয়ে নিতে বললেন! আর তাতেই একটা বার্তা আরও স্পষ্ট হল, আরএসএস চোখ বন্ধ করে বসে নেই। সোমবারই সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছেন, ‘স্বয়ংসেবক হতে হলে বিনয়ী হতে হবে, ঔদ্ধত্য বর্জনীয়। এখানে আমিত্বের জায়গা নেই।’ ভাগবতের এই ‘পরামর্শ’ বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সঙ্ঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজারে’র সাম্প্রতিক সংখ্যাতেও কিন্তু তুলোধোনা করা হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, অহংকার এবং মাটির সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে এরকমই হয়। শুধুই বড় বড় স্লোগান, পোস্টার আর সেলফি দিলেই নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায় না। মাটিতে নেমে কাজ করতে হয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কর্মীদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে? হয়নি। বিজেপি ধরেই নিয়েছে আরএসএস বোধহয় বিজেপির ফিল্ড ওয়ার্কার। ভুলে গিয়েছে যে, সঙ্ঘ কারও কর্মী নয়।’ সঙ্ঘ যে এভাবে নরেন্দ্র মোদির দল এবং রণনীতিকে কাঠগড়ায় তুলবে, তা অবশ্য অতি বড় ভক্তও ধারণা করেনি। ওই প্রবন্ধে আরএসএসের বহুদিনের সদস্য রতন শারদা লিখেছেন, ‘বিজেপির অতিরিক্ত ইগোকেন্দ্রিক নেতৃত্ব মনে করে, তারাই শুধু রাজনীতি বোঝে। আরএসএস কর্মীরা বোধহয় নিছক গ্রাম্য ভাঁড়। দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ পুরনো কর্মীদের গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে। বাড়তি নির্ভরতা দেখানো হয়েছে নতুন যুগের সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক ও সেলফিকেন্দ্রিক কর্মীদের উপর। এটাই প্রবল ক্ষতি করেছে বিজেপির।’ আরএসএস মনে করছে, নিচুতলার কর্মী ও সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণ—নেতাদের নাগাল না পাওয়া। জনপ্রতিনিধিরা এতই নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন যে, তাঁদের সঙ্গে কেউ দেখাই করতে পারে না!
তবে আরএসএসের এই আক্রমণের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ কোনটি? যেখানে বলা হয়েছে, ৫৪৩ আসনেই আসলে মোদিজি লড়াই করছেন... এটা ভেবে নেওয়ার একটা সীমা আছে! এই ভাবনা আত্মঘাতী।